জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের টিম গ্রেফতার করেছে দুই যুবককে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের বীজ ছড়িয়ে পড়েছে হুগলিতে ও। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা খড়িবাড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের টিম গ্রেফতার করেছে দুই যুবককে। ধৃতদের একজনের বাড়ি হুগলির আরামবাগের সমতা গ্রামের কাজি পাড়ায়। ধৃত ব্যক্তির নাম আশাহান উল্লাহ। ছেলে যে জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত তার আঁচ অবধি পায়নি বাড়ির লোক থেকে পড়া প্রতিবেশীরা।নিজের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর আলাদা সংসার ও পেতেছিল। কিন্তু কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ল তা এখনও বুঝতে পারছে না ধৃতের মা ফরিদা বিবি। তিনি জানান, ছোটবেলায় স্থানীয় এক স্কুলে তিন চার বছর পড়াশোনা করার পর ছেলেকে ভর্তি করেন মাদ্রাসায়। পড়াশোনা শেষ করে প্রথম জীবনে আশাহান উল্লাহ দর্জির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে সে কাজ ছেড়ে পুরাতন গাড়ি কেনাবেচার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। মাঝেমধ্যে বিশেষ পরব পার্বণের দিন মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে আসত ধৃত ওই ব্যক্তি।স্থানীয় সূত্রে খবর, পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে কারোর সঙ্গেই খুব একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল না কাজী আশহান উল্লাহর। গ্রামে থাকাকালীন যে কজন সমবয়সীদের সঙ্গে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন তারাও কেউ বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না তাদের পাড়ার ছেলেটি দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওই ব্যক্তির বাড়িতে খুব একটা কারোর আনাগোনা ছিল না। বেশ কিছু বছর যাবৎ আশাহান উল্লাহ বাইরে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসলেও দোকান বাজার করা ছাড়া বাড়ির ভেতরেই বেশিরভাগ সময় কাটাতেন।জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয় আরামবাগের কাজীপাড়ায়। স্থানীয় মানুষরা যেমন একাধরে আতঙ্কিত অন্যদিকে চিন্তিত বটে। বাড়ির পাশে বহু বছরের মানুষটি কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে উঠল তার রহস্য ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। তবে কেউ যদি অপরাধ করে থাকে শাস্তি তাকে পেতেই হবে এমনই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।