পূর্ব বর্ধমানের রুট দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার করার ছক ছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা: গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাচার মামলাতে কার্যত প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। আর এই তদন্ত চলাকালীনই চলছে গরু পাচার। তাও আবার কিনা সিবিআইয়ের র‍্যাডারে থাকা বীরভূম থেকেই। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর এরমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ওপর দিয়ে গোপনে গরু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল পাচারকারীরা। কিন্তু ভেস্তে গেল সেই ছক। হাতেনাতে গরু পাচারকারীদের ধরে ফেলল পুলিশ।

     

    পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূম থেকে গরুগুলিকে আনা হচ্ছিল সেখানে। আর তা পূর্ব বর্ধমানের রুট দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার ছক ছিল। কিন্তু তা সীমান্ত পার হওয়ার আগেই রুখে দেয় পুলিশ। যা অবশ্যই রাজ্য পুলিশের কাছে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছিল। ওই সময়েই খবর আসে ফুটিসাঁকোর দিক থেকে পাঁচুন্দির দিকে দুটি মিনি ট্রাকে বেশকিছু গরু যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ব্যক্তি বেশ কয়েকটি গরু হাঁটিয়ে নিয়ে কাটোয়া বোলপুর রোড ধরে যাচ্ছে। এই খবর পেয়েই একাধিক গাড়িতে চড়ে পুলিল সড়ক পথে বেরিয়ে পড়ে। গরু নিয়ে যাওয়ায় যুক্ত মোট ৯ জনকে তিনটি পৃথক জায়গা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।ধৃতদের মধ্যে দু’জন ২৭টি গরু হাঁটিয়ে নিয়ে আসছিল পাঁচুন্দির দিকে। বাকি দুটি গাড়িতে ছিল ১০টি করে মোট ২০টি গরু। ধৃতদের কেউই গরু নিয়ে যাওয়ার সংক্রান্ত কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তার পরেই ৯ জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি গরুগুলি আটক করা হয়। ধৃতদের মোবাইল ফোন গুলিও পুলিশ নিয়ে রাখে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে বীরভূমের সিবিআইয়ের কড়া তৎপরতা চলছে। চলছে নজরদারিও। এই অবস্থায় বর্ধমানের রুটকেই সম্ভবত পাচারকারীরা ব্যবহার করছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ফলে এই রুটেও নজরদারি চালাচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।