|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: আবাস যোজনার বাড়ি পাবার জন্য দিতে হয়েছিল কাটমানি। প্রথম কিস্তির টাকা একাউন্টে পাওয়ার জন্যও দিতে হয়েছিল কাটমানি। পরবর্তীতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা একাউন্টে আসার আগেও আবারো কাটমানি দাবি করার অভিযোগ উঠছে পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে। কাটমানির টাকা না দেওয়ায় একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে না আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, বলে অভিযোগ। এমনই অভিযোগ করছেন, দেগঙ্গা চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গোলাম নবী। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি ওই তৃণমূল সদস্য।
গোলাম নবী জানান, আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম ওঠার পর, প্রথম কিস্তি বাবদ তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু, এরপরই সেই টাকার থেকে পঞ্চায়েত সদস্যকে দুই হাজার টাকা কাটমানি দিতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। আবারও, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার সময় অগ্রিম ১০ হাজার টাকা দাবি করেন, ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহিব্বর মোল্লা। সেই টাকা না দেওয়ায়, আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির দ্বিতীয় কিস্তির বাকি টাকা গোলাম নবী আর পাননি।এক বছর ধরে সেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেও জানাযায়। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি তার। এমনকি অভিযোগকারীর গোলাম নবীর স্ত্রী তনুজা বিবি জানান, ‘প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।’ বিষয়টি নিয়ে দেগঙ্গার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, কাটমানি প্রসঙ্গ নিয়ে তার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। আর এরকম নজির চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে নেই।
যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহিব্বর মোল্লা বলেন, ‘গোলাম নবীর নাম ভুল থাকার কারণে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আদেও কি আর মিলবে বাড়ি তৈরীর বাকি টাকা! উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে অসহায় গোলাম নবী ও তার পরিবার।