হনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল গ্রামবাসীরা অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলি করে হনুমানকে খাঁচা বন্দি করে বনদফতর

নিজস্ব সংবাদদাতা : হনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল গ্রামবাসীরা৷ গোটা এলাকায় এতটাই আতঙ্ক দেখা দেয় যে কেউ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত৷ গত ১৫ দিনে প্রায় ৪০ জন গ্রামবাসীকে কামড়ে দিয়েছে হনুমানের দল৷ অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলি করে হনুমানকে খাঁচা বন্দি করে বনদফতর৷ঘটনাটি নদিয়ার গাংনাপুর থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি গ্রামের৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদল হনুমান এলাকায় তাণ্ডব চালায়৷ কারও গলায়, কারও পিঠে, কারও হাতে কামড়ে দিয়েছে হনুমান৷ বর্তমানে একজন গ্রামবাসী আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন রানাঘাট হাসপাতালে।অভিযোগ, প্রশাসনকে প্রথমে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলনে নামেন৷ টনক নড়ে বন দফতরের৷ তাঁরা এসে একটি হনুমানকে আটক করে নিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান মেলেনি৷ ভুলবশত অন্য একটি হনুমানকে ধরা হয়। শেষমেষ স্থানীয়রা পাগল হনুমানটিকে চিহ্নিত করে রাখার পর বন দফতর এসে সেটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।রানাঘাট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার বাগচি জানান, গত ১৮ এপ্রিল হনুমানের আক্রমণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি হনুমানকে আটক করা হয়। পরেরদিন আবারও খবর আসে আরও একটি হনুমান আক্রমণ করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর বন দফতরের কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হনুমানটিকে আটক করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ধরা যায়নি। পরপর তিনদিন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ধরা যায়নি ওই হনুমানটিকে। ঘুম পাড়ানির গুলি একদম শেষ পর্যায়ে ব্যবহার করা হয় যখন আর কোন উপায় থাকেনা।শেষমেষ সেই ঘুম পাড়ানির গুলি করে খাঁচা বন্দি করা হয় হনুমানটিকে।