|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলির ধনেখালিতে এক ব্যক্তিকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ । কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি মৃতদেহ। খুনের অভিযোগে মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।মঙ্গলবার রাজ্যে একের পর এক খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। বহরমপুরে সম্পর্কের টানাপোড়েনে, ছাত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফাতেও, সম্পর্কে সন্দেহের জেরে, হবু স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে।
একের পর এক এই ঘটনাগুলোর রেশ কাটার আগেই, এবার হুগলিতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে, গ্রেফতার হলেন স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। গত ২৯ এপ্রিল হুগলির ভাণ্ডারহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপাড়া এলাকার একটি কুয়ো থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। তাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সনাতনের স্ত্রীর সঙ্গে বেচারামের পরকীয়া সম্পর্কের কথা উঠে আসে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সনাতনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন বেচারাম।৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সনাতন খুনের তদন্তে জেরার মুখে বেচারাম দাবি করেছেন, ২৮ এপ্রিল তিনি সনাতনকে ধনেখালির বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও মদ্যপানের পর সনাতনের মাথায় তিনি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়।
খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের
প্রমাণ লোপাট করতে মৃতদেহ বস্তায় ভরে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়। বেচারামের বক্তব্য, “টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা ছিল। নেশার ঘোরে মেরে দিয়েছি।” এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার সনাতনের স্ত্রী চাঁপাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের কারণ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। খোঁজ চলছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের।