ল্যাব আছে কিন্তু ল্যাবে দীর্ঘদিন ধরে নেই গুরুত্বপূর্ণ ইন্সট্রুমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ল্যাব আছে, কিন্তু ল্যাবে দীর্ঘদিন ধরে নেই গুরুত্বপূর্ণ ইন্সট্রুমেন্ট। তাই আবেদন নিবেদন ছেড়ে ল্যাব ইন্সট্রুমেন্ট কেনার দাবিতে এবার আন্দোলনে নামল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পড়ুয়ারা (Lab Instruments)। কলেজের অধ্যক্ষ যদিও পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে তা দ্রুত পূরণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রী ঐশ্বর্য পাঁজা ও অনুপম দাস জানান, “২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর তাঁদের কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ল্যাব ইন্সট্রুমেন্ট চুরি করে নিয়ে গেছে বলে কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই চুরির এখনো কোনো কিনারা হয়নি।” অনুপম দাস বলেন, এই চুরির ঘটনার পর শুরু হয়ে যায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। করোনা কালে দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ ছিল, তখন অনলাইনেই চলে পঠন পাঠন। ফলে ওই সময়ে পড়ুয়াদের ইন্সট্রুমেন্টের প্রয়োজন হয়নি। তবুও ওই সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ল্যাব ফিস সহ নির্ধারিত সমস্ত ফিস নিয়েছে। এখন কলেজ খুলেছে। অফলাইনে ক্লাসও শুরু হয়েছে। তার পরেও গুরুত্বপূর্ণ ল্যাব ইনসট্রুমেন্ট না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত যাতে ল্যাব ইনসট্রুমেন্ট কেনেন সেই দাবিতে বৃহস্পতিবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দায়িত্বে থাকা সন্দীপন নাথ ঠাকুর বলেন, “ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছে। তাই ওদের দাবি অযৌক্তিক নয়।” অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র বলেন, কোভিডের জন্য দু’বছর কলেজের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল। সবে মার্চ মাস থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। গত বছর ল্যাব থেকে যে ইনস্ট্রুমেন্ট চুরি যায় পুলিশকে তা বলাও হয়েছে। পাশাপাশি ইন্সট্রুমেন্ট কেনার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। এরপর বিজ্ঞাপন দিয়ে টেণ্ডার ডাকা হবে। সরকারি নিয়ম মেনে এইসব করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত ইন্সট্রুমেন্ট কেনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।