“এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক!” রামপুরহাট কাণ্ডে বিজেপির রিপোর্টে ক্ষুব্দ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দার্জিলিং: গেরুয়া শিবিরের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে ক্ষুব্দ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে বিজেপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন “বগটুইয়ের তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কিভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম বলল? কি করে জানছে কে ঘটনায় জড়িত? আসলে বিজেপি চায় ওকে গ্রেপ্তার করা হোক।”

    কি বলছে রিপোর্ট?

    এদিন সকালে বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী ব্রজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ শ্রী কেসি রামমূর্তি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে যান এবং বগটুই কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন।

    রিপোর্ট বলছে

    “বাংলায় তৃণমূলের শাসনে মাফিয়ারা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজত্ব করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।

    রাজ্যের যে সব নাগরিকরা আইনের শাসন মেনে চলতে চান, সরকারের ওপর তারা সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়েছেন।

    বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তা রাজ্য সরকার অনুমোদিত তোলাবাজির পরিণাম ছাড়া আর কিছুই না। গুন্ডা ট্যাক্স, কাটমানি, তোলাবাজির ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

    বিজেপির অনুসন্ধানকারী দল কলকাতা ফিরে আসার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যাওয়ার পথে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল এবং তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর বিজেপির দলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশের কোনও অফিসার বা আধিকারিক আমাদের উদ্ধার করতে আসেননি। আমরা ডিজিপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

    আমরা জানতে পেরেছি বগটুইয়ের পাশবিক ঘটনার সময় এসডিপিও ও ইন্সপেক্টর অব পুলিশ ঘটনাস্থলের সামনেই উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। আততায়ীদের আগুন লাগানোর থেকেওই তাঁরা বাধা দিতে পারেননি। তারা পদক্ষেপ নিয়ে অনেকগুলি প্রাণ বেঁচে যেত।

    সেই গ্রামের সাধারণ মানুষরা ভয়ে আছেন। এনএইচআরসি, জাতীয় মহিলা ও শিশু কমিশন ও তাদের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বগটুই গ্রামের গিয়ে মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির চেষ্টা করেছিলেন।

    আমাদের সুপারিশ যে পশ্চিমবঙ্গে অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের যে সব অফিসাররা কাজ করছেন তাদের সাংবিধানিত দায়িত্ববোধ তাদের মনে করানো প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ তাদের কড়াভাবে সতর্ক করা।”