এবার শান্তিনিকেতনের আমেজ পাওয়া যাবে রানাঘাট নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার শান্তিনিকেতনের আমেজ পাওয়া যাবে রানাঘাট নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তৈরি করা হল অবিকল শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রনাথের কাঁচের ঘর এবং একটি ছাতিম গাছকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হল রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের পরিবেশ রানাঘাটের নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়। জানা যায় এই ভাবনার মূল কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শিক্ষার বিকাশ ঘটানোর জন্য স্কুলই হল একমাত্র উপায়। তবে আজকের স্কুল আর অতীতের বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গুরু মশায়ের কাছে আসত নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য।গুরু মশাই বট বা অশ্বত্থ অথবা ছাতিম গাছের তলায় ছাত্রদের পড়াশোনা করাতেন। এর একটি বিশেষ কারণ ছিল আগেকার গুরু মশাই এটা মনে করতেন চার দেওয়ালের মধ্যে জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো যায় না সেই জন্য চাই মুক্ত বাতাস মুক্ত আলো। সেই কারণে আগেকার দিনে গুরুমশাইরা গাছের পড়াশোনা করানোই স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। সেই কারণেই রানাঘাট নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা সিদ্ধান্ত নেন শান্তিনিকেতনের একটি পরিবেশ গড়ে তুলবেন তাদের বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে।সেই মতোই খবর দেওয়া হয় রানাঘাটের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সঞ্জু কুন্ডুকে। চিত্রশিল্পী সঞ্জু কুন্ডু এর আগেও একাধিক কারুকার্য ও শিল্প প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে ছিলেন খবরের শিরোনামে। এবার তাকে দিয়েই করা হল ছাতিম গাছের তলায় এই শান্তিনিকেতনের পরিবেশ। সম্পূর্ণ কারুকার্যটি তার করতে সময় লেগেছে এক মাস। সমস্তটি তার এবং তার টিমের সদস্যদের নিজের হাতে আঁকা বলে জানালেন তিনি।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক জানান ,” আমাদের স্কুলটি মূলত ১৩ বিঘা জমির উপরে। এবং আমাদের স্কুলের পেছনের মাঠটি প্রায় চার বিঘার ওপরে। এবং সামনের অংশে একটি মুক্তমঞ্চ আছে তার দুপাশে দুটি গ্রাউন্ড আছে। এবং একটি গ্রাউন্ড দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত ছিল। সেই জায়গায় আমরা তারই দেওয়ালকে কেন্দ্র করে একটি মঞ্চ আমরা তৈরি করেছি। আমাদের কিছু মাস্টার মশাই এবং দিদিমণিদের উদ্যোগে এই কাজ সম্ভব হয়েছে”।