এবার ক্ষোভের আঁচ হুগলি বিজেপিতে, গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি কর্মীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার ক্ষোভের আঁচ হুগলি বিজেপিতে, গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি কর্মীদের যার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাকে মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে। বিজেপি অর্থপাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে আর যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তাকে মন্ডল সভাপতি করা হল কি করে? যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে এমন সব লোককে পদ দেওয়া হয়েছে। মন্ডল থেকে নাম যায়নি এমন লোককেও সভাপতি করা হয়েছে। জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ও জেলা সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ এক চেটিয়া ভাবে দল চালাচ্ছেন এই অভিযোগ তুলে গণ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি কর্মিদের একাংশ।ক্ষোভের আঁচ আগে থেকেই ছিল। তাই দুদিন আগে মন্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার হুগলি সাংগঠনিক জেলার ৩০ জন বিজেপি মন্ডলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পরই ক্ষোভ দেখা গেল বিজেপির নিচুতলার কর্মিদের মধ্যে। তাদের হুশিয়ারী সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। বুধবার বিজেপির জেলা দপ্তরে গিয়ে তারা ইস্থফা দেবে বলে জানান।প্রাক্তন এক মন্ডল সভাপতি সন্দীপ সাধুখাঁ বলেন,যাদের মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে তারা দলের কোনও কাজকর্মে থাকে না। আগে দলের কোনও পদে থাকলে তাকে মন্ডলের সভাপতি করা যায় এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। রাজ্য কেন্দ্রের বেধে দেওয়া বয়সের সীমাও মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। জেলা সভাপতি তার পছন্দের লোকদের সভাপতি করেছে রাজ্যের নির্দেশ অমান্য করে এমনটাই অভিযোগ বিক্ষুব্ধদের।হুগলির সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,নতুন জেলা সভাপতি হবার পর নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সব পদ লোপ পায়। আবার নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের পুনর্বহাল করা হতে পারে।

    বিজেপিতে তিন থেকে ছয় বছর মেয়াদ কাল একজন সভাপতির। এরপরে সবাইকেই সরতে হয়। সেই সরে যাওয়া নিয়ে হয়ত কারও দুঃখ হতে পারে। তিনি বলেন অনেক জায়গা আছে এবং সবাইকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাইরে ক্ষোভ না দেখিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করলে ভালো বলেই জানিয়েছেন তিনি।