|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃ ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের ১৩ তম বর্ষ পূর্তিতে শহীদ স্মরণে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিকেল তিনটায় শুভেন্দু অধিকারী জনসভা থেকে ঢিল ছোড়ার দূরত্বে নন্দীগ্রাম হাজরা কাটায় তৃণমূলের দলীয় পতাকায় নন্দীগ্রামের নেতা শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে বিশাল জনসভা হয়। প্রধান বক্তা হিসেবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা, জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর মতন নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
ত এদিন মঞ্চে বক্তৃতার সময় শুরুতেই ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ”আমি কাউকে কিছু বলতে চাই না। আমি রথ নই, পথ নই, সেটা অন্তর্যামী জানে। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, নন্দীগ্রাম আন্দোলন বাংলার মানুষের কাছে স্বাধীনতা অন্দোলনের থেকে কম নয়। আর এই অন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। এই কথা কেউ যেন ভুলে না যায়। এই কথা কেউ যেন অস্বীকার না করে। ভারতের স্বাধীনতা অন্দোলনের কথা উঠলে গান্ধীজিকে অস্বীকার করা যাবে না। তেমনই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা যতবার উঠবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উচ্চারণ করতে হবে।”
দুই নেতার মধ্যে একজনও পরস্পরের নাম করলেন না। অথচ একে অপরকে বিঁধলেন। একে অপরকে নিশানা করলেন। আর তাতে নন্দীগ্রামের দুই মঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর কোন্দল যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল
সকালে শহীদ স্মরণ সভায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন কটাক্ষর সুরে বলেছিলেন, এই কর্মসূচি নতুন কোনো কর্মসূচি নয়।গত 13 বছর ধরে এই কর্মসূচি চলছে। গত 13 বছর আপনারা কোথায় ছিলেন?13 বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা এবার মনে পড়েছে, ভোটের আগে আসছেন ভোটের পরে আসবেন তো?
বিকেলের সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, ”কে বলল আসিনি! ১৩ বছরে অনেকবার নন্দীগ্রামে এসেছি। আমি এসেছি। পার্থদা, বক্সীদা, পূর্ণেন্দু দা, দোলা দি অনেকবার নন্দীগ্রামে এসে এখানকার আন্দোলনকে সমর্থন জুগিয়েছি। এই নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান। নন্দীগ্রাম ছিল বলেই সিপিএমের মতো জগদ্দল পাথরকে সরাতে পেরেছি। নন্দীগ্রাম, ভাঙড়, সিঙ্গুর না থাকলে মানুষ অত্যাচারী সিপিএমকে চিনতে পারত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনের কাণ্ডারি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারে! যারা ভাবছে পালে হাওয়া দিয়ে এই রাজ্যে বিজেপিকে শক্ত ভিতে দাঁড় করাবে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।”