হুগলী জেলার তিন আসনের মধ্যে ২টি ধরে রাখতে পারলেও হুগলী লোকসভা কেন্দ্রটি ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : হুগলী জেলার তিন আসনের মধ্যে ২টি ধরে রাখতে পারলেও হুগলী লোকসভা কেন্দ্রটি ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল।হুগলী আসনে তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী রত্না দে নাগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন বিজেপির প্রভাবশালী নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি। মাটি কামড়ে পরে থেকে সেই আসন রত্না দে নাকের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন লকেট চ্যাটার্জী।বাকি ২টি আসন আরামবাগ এবং শ্রীরামপুরে তৃণমূল জিতলেও জয়ের ব্যবধান ছিল খুবই সামান্য। আর এই জনমত হারানোর কারণ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

    তৃণমূলের অন্দরমহলে প্রায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হওয়া বইতে থাকে। আর হুগলী জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যে ব্যক্তির নাম সবার প্রথমে আসে তিনি হলেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত!
    জেলায় তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য তাঁকে বিশেষভাবে দায়ী করে থাকে তৃণমূলের একাংশ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবিও উঠছিল তৃণমূলের অন্দরমহলে।এবার সেই দাবীতেই কার্যত সিলমোহর লাগালো দল।সূত্রের খবর, তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে দিলীপ যাদবকে হুগলী জেলা সভাপতি করেছে তৃণমূল।
    এছাড়াও আরো অনেককে অপসারণ করেছে তৃণমূল, চেয়ারম্যান করা হয়েছে রত্না দে নাগকে, কার্যকরী সভাপতি হলেন অসীমা পাত্র, প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না ও মানস মজুমদার।
    গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে দিলীপ যাদব, শান্তনু ব্যানার্জীদের ওপরই তৃণমূলের ওপরমহল ভরসা করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।