হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের নবনিযুক্ত যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস এর সভা ঘিরে বিতর্ক মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব

মালদা,নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নতুন কমিটি গঠনের পর মালদা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন প্রসেনজিৎ দাস যিনি জেলার ছাত্র, যুব রাজনীতির যথেষ্ট পরিচিত মুখ আজ মালদা জেলা যুব সভাপতির নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক এ যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে একটি বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা ছিল যেখানে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা তাজমুল হোসেন কিন্তু এই কর্মিসভা কে ঘিরে উঠেছে কিছু গুরুতর প্রশ্ন সরকারি নির্দেশাবলী অমান্য করেছে খোদ শাসক দল , প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দল থেকে শুরু করে এলাকার বুদ্ধিজীবী মহল|

    বর্তমানে চলছে আনলক ৩ যেখানে নির্দেশ রয়েছে ৫০ জনের বেশি একসাথে জমায়েত করা যাবে না সেখানে আজ কর্মিসভায় প্রায় দুই হাজার লোকের জমায়েত হয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ অনেকের মুখে আবার মাস্কও ছিল না , মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব এলাকার বিভিন্ন বুথ থেকে মিছিল করে আসে তৃণমূল কর্মীরা যে মিছিল গুলিতেও মানা হয়নি কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি আজকের এই কর্মিসভা এবং মিছিলের ছবি দেখে ভীত এলাকার সচেতন মানুষেরা প্রশ্ন তুলছে তারা “আগে জীবন না রাজনীতি” ??

    রাজ্য এবং জেলা জুড়ে ক্রমশই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ চিকিৎসক, নার্স , স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে লড়াই করা সমস্ত ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা আক্রান্ত হচ্ছেন,মারাও যাচ্ছেন, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতেও পুলিশ, এবং চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন তারপরেও কিভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা স্বাস্থ্যবিধি উল্লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সচেতন , বুদ্ধিজীবী মহল

    উল্লেখ্য, ২ দিন আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এ তৃণমূলের একটি যোগদান কর্মসূচি নিয়েও তৈরী হয়েছিল বিতর্ক রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছে অসচেতনতার ছবি আর যা কাম্য নয় |

    এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজুদ্দিন আহম্মেদ বলেন , ” রাজ্য তথা জেলা জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে হরিশ্চন্দ্রপুরেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা কাম্য নয় এই মুহূর্তে রাস্তায় নেমে কর্মসূচি করা একদম ঠিক না | মানুষের কাছেও ভুল বার্তা যাচ্ছে প্রত্যেকের এই ব্যাপারে আরোও সচেতন হওয়া উচিত | ”

    বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া আর একটু সুর চরিয়ে বলেন, ” যে এই কর্মিসভা থেকে যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে তার দায় তৃণমূলকে নিতে হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী , মুখ্যমন্ত্রীর সব বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করছেন, সকলকে এই মুহূর্তে জমায়েত করতে মানা করছেন সেখানে রাজ্যের শাসক দল কিভাবে নির্দেশিকা ভঙ্গ করতে পারে ? জেলা সভাপতির উপস্থিতেই এরকম হল যা একদম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় | ”

    অবশ্য তৃণমূল নেতা তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান বলছেন , ” জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতির নির্দেশে আজকের এই বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা হল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়েছে সকলের মুখে মাস্ক ছিল হয়তো যখন প্রসেনজিৎ অনেকে আবেগ প্রবণ হয়ে পরে সেই সময় একটু সামাজিক দূরত্বে ব্যাঘাত ঘটে পরবর্তীতে সেই দিকেও নজর দেওয়া হবে | ”

    তবে জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে আজকের এই কর্মিসভাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরী হয়েছে তা বলাই বাহুল্য |