তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা

মালদাঃ- তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে পঞ্চায়েতে। হাই-মাস্ট লাইট থেকে শুরু করে রাস্তার কাজ প্রত্যেক ক্ষেত্রে হচ্ছে দুর্নীতি। কোটির অধিক টাকার দুর্নীতি হয়েছে।এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।সমগ্র ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তার পাল্টা দাবি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।যারা অভিযোগ করছে তারা ভোটের সময় বিজেপি করে, ভোট শেষ হলেই তারা তৃণমূল হয়ে যায়, যারা অভিযোগ করছে তারাই ঠিকাদার গুলোর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা কাটমানি চাইছে, কাটমানি পাচ্ছে না তাই এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে আর এদেরই জেলা নেতৃত্ব এদেরকেই উচ্চপদ দিচ্ছে।

    মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তৃণমূল পরিচালিত ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে রাস্তা নির্মাণ, হাই-মাস্ট লাইটে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ করেছে এলাকারই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কোটির অধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ করতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এই নিয়ে এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সরাসরি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার করেছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ রাস্তার কাজ শুরু হয় নি। যেগুলি কাজ হয়েছে সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে, ওভার এস্টিমেট করে রাস্তার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে কমদামি হাই-মাস্ট লাইট লাগিয়ে বেশি টাকা বিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। এমনকি ওই লাইট গুলি ইতিমধ্যে নষ্ট হতে শুরু করেছে। এর পরি-প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জেলা সমাহর্তা সহ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এমবি রাওয়ের, তার সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের শরণাপন্ন হয়েছেন।

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ভালুকা অঞ্চল সভাপতি প্রদীপ মহালদার বলেন,” ভালুকা পঞ্চায়েত মারাত্মক দুর্নীতি হচ্ছে। রাস্তা তৈরি, হাই মাসলাইট, এন-আর-জি-এস এর কাজ নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েতের কর্মীরা সকলেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এজন্য আমরা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। জেলাশাসক কে জানানো হয়েছে।”মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠাবো।”

    ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মজিবুর রহমান বলেন,” সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েতের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছে তারা ভোটের সময় বিজেপি করে, ভোট শেষ হলেই তারা তৃণমূল হয়ে যায়। পঞ্চায়েত ও দল কে বদনাম করার চক্রান্ত করে। সব বিজেপির ষড়যন্ত্র, আর জেলা নেতৃত্ব এদেরকেই উচ্চপদ দিচ্ছে।”

    ফোন মারফত যোগাযোগ করা হলে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কল্লোল দাস জানান আমি এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।