গুটকা ও পানমশলার দোকানে অভিযান চালাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ, জরিমানা

নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: গুটকা ও পান মশলা বিক্রি নিষেধাজ্ঞা সত্বেও দেদার বিক্রি হচ্ছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক, ও হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিকরা অভিযান চালান। হরিশ্চন্দ্রপুর বাসস্টান্ড ও বারদুয়ারী রামনগরে অভিযান চালিয়ে তিনটি মুদিখানার দোকান থেকে উদ্ধার করেছে বেশ কয়েকটি গুটকা ও পান মশলার প্যাকেট। সূত্রের খবর, নগদ এক হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয বলে খবর।

    উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জারি করে জানানো হয়েছে যে গত ৭ নভেম্বর থেকে গুটকা ও পানমসলা জাতীয় দ্রব্য বিক্রী নিষিদ্ধ । কিন্তু তারপরেও মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন প্রান্তে অবাধে চলছিল গুটকা ও পানমসলা বিক্রির রমরমা।

    প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহু দোকানের সামনে ঝোলানো রয়েছিল গুটকা ও পানমসলা প্যাকেট। এমনকি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক কিমি অদূরে বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ও বারদুয়ারী এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল গুটকা এই বিক্রী।

    এদিন পুলিশ প্রশাসন, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামিন হাসপাতালের চিকিৎসক ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিকরা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যে চিত্র তুলে ধরেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর বাস স্টান্ড, বারদুয়ারী রামনগর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের মুদির দোকানে গোপনে বিক্রি হচ্ছে গুটকা,পানমশলা।

    গুটকার নেশায় আসক্তরা জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় একটু বেশি টাকা দিলেই মিলছিল গুটকা। অনেকে এখনো দোকানের সামনে ঝুলিয়ে বিক্রি করলেও এক শ্রেণীর ব্যাবসায়ী লুকিয়ে বেশি মূল্যে দেদারে বিক্রি করছেন রাজ্যে বন্ধ হওয়া গুটকা ও পান মশলা বলে দাবী তাদের।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন আমরা প্রশাসন, চিকিৎসক ও পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গবদ্বে এদিন গুটকা ও পান মশলা বিক্রেতাদের দোকানে তল্লাশি চালিয়েছি।

    হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলবে এখন নিয়মিত।রাজ্যে নিষিদ্ধ হওয়া গুটকা ও পান মশলা এলাকায় কোনো ভাবেই বিক্রি করা যাবে না! এবং তার জন্য প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান

    প্রশাসন এলাকা জুড়ে গুটকা ও পান মশলা বিক্রি বন্ধের বিষয়ে প্রচার চালাবে। কোনো ব্যবসায়ী যাতে পেছনের দরজা দিয়ে গুটকা ও পান মশলা বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে কড়া নজর রাখা হবে বলে জানায় প্রশাসনিক আধিকারিকগন।