সবং ব্লকে মেদিনীপুর পান্থপাদপ সোসাইটির চতুর্থ পর্যায়ের ত্রাণ বিতরণ

সবং ব্লকে মেদিনীপুর পান্থপাদপ সোসাইটির চতুর্থ পর্যায়ের ত্রাণ বিতরণ

    সেখ মহম্মদ ইমরান:নতুন গতি,মেদিনীপুর:

    করোনা মাহামারীর প্রকোপে লকডাউনে একদিকে বিপর্যস্ত জীবন-জীবিকা , অন্যদিকে দিন দুয়েক ধরে বৃষ্টি বিঘ্নিত আবহাওয়ায় চিন্তায় ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের দাঁদরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোলাগেড়িয়া ও মহম্মদতকী গ্রামের বাগাল পরিবার গুলি। এরই মাঝেই সুদূর মেদিনীপুর শহর থেকে ধর্মা পশ্চিম মেদিনীপুর পান্থপাদপ সোসাইটির ত্রাণ পৌছাল এই দুই গ্রামে। ত্রাণ পেয়ে হাসি ফুটল তাপস বাগাল,কটি বাগাল, খেলা বাংগাল,রাম বাগাল,কানু বাগাল সহ বাগাল পাড়ার অন্যান্যদের মনে। রবিবার সকালে মেদিনীপুরের পান্থপাদপ সোসাইটির উদ্যোগে ত্রাণ তুলে দেওয়া হলো সবং ব্লকের ৩নং দাঁররা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন খোলাগেড়িয়া ও মহম্মদতকী গ্রামের প্রায় ৭০টি ‘বাগাল’ পরিবারের হাতে। এদিন পান্থপাদপের তরফে প্রত্যেকের হাতেই তুলে দেওয়া হয় আলু, পেঁয়াজ, তেল, ডাল-সহ এগারো দফা খাদ্যসামগ্রী। প্রতি পরিবারপিছু চারটি করে ডিমও দেওয়া হয়। ত্রাণ বিলিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সম্পাদক সুব্রত দত্ত, হীরুলাল পাখিরা, মুস্তাক আলি ও মশাগ্রাম হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তনু অধিকারী। শান্তনুবাবুর কাছেই এই এলাকার মানুষদের দুর্দশার কথা জানতে পেরেছিলেন পান্থপাদপের সদস্যরা। পান্থপাদপের প্রতিনিধিরা জানালেন, ‘দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম, আমাদের এই প্রয়াস উনাদের কিছুটা হলেও উপকারে এলে খুশি হবো।”। পাশাপাশি তাঁরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তাঁদের এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য।পান্থপাদপের সভাপতি সুশান্ত কুমার ঘোষ জানান,এটা ছিল তাঁদের ত্রাণ বিলির চতুর্থ পর্যায়। এর আগে তিনটি পর্যায়ে তাঁরা গোয়াতোড়ের নলবনা, খড়্গপুর গ্রামীনের বড়কোলা, মেদিনীপুর সদরের খয়রুল্লাচকের মোট ২৩০ টি পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন। এদিন সহ চারটি পর্যায়ে এপর্যন্ত সোসাইটির উদ্যোগে ৩০০ পরিবারের হাতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বিভিন্ন সময়ে এই এলাকার বাগাল পাড়ার অধিবাসীদের কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এলেও এখনোও তারা অনেকাংশেই বঞ্চিত ও পিছিয়ে রয়েছেন।