ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছে সিআরপিএফ, এমন অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল

ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছে সিআরপিএফ, এমন অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল

     

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ভোট প্রচারে বেরিয়ে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন ‘বহিরাগত ঢুকিয়ে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে। বাইরের পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে।’ মমতার সেই আশঙ্কা সত্যিই ঘটে চলেছে বলেই দাবি করতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল। দক্ষিণ কাঁথিতে যেমন তৃণমূলে ভোট দিলেই ইভিএমে তা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তেমনি ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছে সিআরপিএফ, এমন অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল।

     

    শাসক দলের অভিযোগ, চার জেলার ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সিআরপিএফ। মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু বুথে এই অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

     

    তবে, দক্ষিণ কাঁথির মাজিনায় ইভিএম কারচুপির অভিযোগে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, ইভিএমে ভোট দিলেই তা বিজেপিতে পড়ছে। ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ভোটদান দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, ভোটাররা ভিভিপ্যাট দেখেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। যদিও ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসার ভিভিপ্যাট ও ইভিএম থেকে দূরে থাকেন। তাই তাঁর পক্ষে কোনওভাবেই দেখা সম্ভব নয় কোথায় ভোট পড়ছে।

     

    এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল। মাজিনার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। অবশেষে সাড়ে তিনঘণ্টা পর ফের শুরু হয় ভোটগ্রহণ। অপরদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার গাজিপুরে তৃণমূল ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যে কারণে কেঁদে ফেলেন ভোটাররা। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। মহিলা ভোটারদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের ভোটাররা। যদিও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।