ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে ত্রিপুরা ভবন ডেপুটেশন বেঙ্গল কল্যাণ মঞ্চের পক্ষ থেকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ বেঙ্গল ওলামা কল্যাণ মঞ্চের পক্ষ থেকে ত্রিপুরায় সংখ্যালঘুদের করে নির্যাতন ও মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ত্রিপুরা ভবনে ডেপুটেশন প্রদান করল। ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন বাংলাদেশ হিংসা কে কেন্দ্র করে এদেশের ত্রিপুরাতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপরে লাগাতারভাবে নির্যাতন জুলুম অত্যাচার এমনকি মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ত্রিপুরার সরকারকে দোষীদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা জন্য আজ এই ডেপুটেশন। তিনি আরো বলেন দেশের শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একপ্রকার সন্ত্রাসী তারা মানুষের উপরে নির্মমভাবে অত্যাচার জুলুম করে চলেছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক । গান্ধীজী নেতাজির দেশে যারা বিভেদ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছেন এবং গণতন্ত্র কে বিনষ্ট করে দেশের ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করছে। তাদের বিরুদ্ধে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দেশের গণতন্ত্র প্রিয় সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।জফের কর্ণধর পীরজাদা মহেবুল্লাহ হোসাইনী বলেন এদেশ শান্তিকামী দেশ গণতন্ত্র দেশ এখানে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি কখনোই আমরা মেনে নিতে পারি না। আজ ত্রিপুরাতে যে ঘটনা ঘটে চলেছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত এবং সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুসলিমদের নিরাপত্তা ত্রিপুরা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে ।যাদের ক্ষতি হয়েছে পুণ্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। পি ওয়াই এফ সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লা বলেন শান্ত দেশকে যারা অশান্ত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি এসকে নুর আলী বলেন সন্ত্রাসবাদীদের কোন ধর্ম হয় না যারা হিংসা ছড়ায় সরকার তাদেরকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের শান্তি সংহতি বজায় রাখার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর সরদার প্রমূখ।