|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: “উমর খালিদের ভাষণ উস্কানিমূলক” জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতার জামিনের আরজি নিয়ে শুক্রবারের শুনানিতে এমনই বক্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের। ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার করে জানিয়েছে, আদালত বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু খালিদ যেভাবে কথা বলেছেন, তা গ্রহণীয় নয়।
বিচারপতিরা বলেন “আপনি কি মনে করে না যা বলেছিলেন তা ছিল আক্রমণাত্মক ও আপত্তিকর? আপনি এমন কথাও বলেছেন ‘আপনাদের পূর্বপুরুষ ইংরেজদের গোলামি করেছিল’। এই সব কথা কি আক্রমণাত্মক নয়? অবশ্যই আক্রমণাত্মক। আর এই প্রথম আপনি এমন কথা বললেন তা নয়। অন্তত পাঁচ জায়গায় এই ধরনের কথা বলতে দেখা গিয়েছে আপনাদের। আপনার কথা শুনে এমন মনে হচ্ছিল, যেন ভারতের স্বাধীনতায় একটা সম্প্রদায়ই লড়াই করেছিল!”
তাঁরা আরো বলেন “আপনার কি মনে হয় না আপনার কথায় ধর্মীয় গোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়ার উসকানি ছিল? গান্ধীজি কি এই ভাষায় কথা বলতেন? শহিদ ভগৎ সিং কি এমন ভাবে কথা বলতেন? এমনকী ইংরেজদের বিরুদ্ধেও? বলতেন কি? গান্ধীজি কি আমাদের এই ধরনের কথা বলতে শিখিয়েছিলেন মানুষ ও তাঁদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে?”
খালিদের আইনজীবী ত্রিদীপ পইসের পাল্টা বক্তব্য “খালিদকে যেভাবে ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, তা থেকে পরিষ্কার আজকাল এই ধরনের অভিযোগ দায়ের করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। কিছু মানুষ বিবৃতি দিলেই চার্জশিট তৈরি হয়ে যাচ্ছে।”
এদিন আদালত পরিষ্কার করে দিয়েছে, খালিদের জামিনের আরজির প্রেক্ষিতে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যেই পুলিশকে সংক্ষিপ্ত জবাব দিতে হবে। জামিনের আরজিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রলম্বিত করে রাখার কোনও উদ্দেশ্য বিচারপতিদের নেই। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৭ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই জেলে বন্দি খালিদ। তাঁর ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিএ পৈস আগেই দাবি করেছেন, প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সরকারের হাতে নেই।