ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত গলসি, ভাংচুর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

আজিজুর রহমান,গলসি : ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত গলসি। হিংসার জেরে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানে ভাংচুর করা হয়েছে। রড লাঠি দিয়ে বেশ কয়েক জনকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্মিকার শাসক দলের স্থানীয় নেতা আনোয়ার সেখ। তার দাবী, সিপিআইএম এর ছেলেরা বাইরে ছিল। গ্রামে ঢুকে ওরাই অশান্তি পাকিয়ে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে ছুরি মেরেছে পাশাপাশি আর এক মহিলা আহত হয়েছে। জানতে পারা গিয়েছে, ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের মোট ছয়সাত জন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়। আহত সিপিআইএম সমর্থক তাজমিরা মল্লিক জানান, এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা তাদের পরিবারের সদস্যদের উপরে চড়াও হয়। বাড়ির সবাইকে লাঠি দিয়ে মারধর করে জাহাঙ্গীর ও তার লোকজনরা। তাদের দোকানো ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ছুরি চালানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ ছুরি মারে নি। দোকানের জানলার কাঁচে জাহাঙ্গীর বগলের কাছে কেটে গেছে। তার দাবী তৃণমূলের ভয়ে তাদের ছেলেরা বাইরে ছিল। আজই সকালে গ্রামে ফিরেছে। পাশাপাশি তাদের পাঁচজন সমর্থককে ব্যপক মারধর করা হয়েছে। তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখ জানান, কালকে পারাজে মিটিং করে ওরা বাড়িতে ফিরেছে। আজকে আমি বাড়ির বাইরে বসে ছিলাম। ওই সময় ওরা এসে আমাকে ছুরি মারে। আমার দুই জায়গায় কেটে গেছে। সেলাইও হয়েছে। এরপর আমাদের ছেলেরা ছুটে আসে। এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানের স্থানান্তর করা হয়। হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন সিপিআইএম এর সাগর মল্লিক, রাফিজুল মল্লিক, মফিজুর মল্লিক, তাজমিরা মল্লিক ও মুক্ত মল্লিক। তাছাড়া আহত হয়েছেন তৃণমূল সদ্য নির্বাচিত পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখ ও আর একজন।