নদিয়ার তাহেরপুরে সন্দেহের বশে স্ত্রী ও সৎ ছেলেকে কুপিয়ে খুন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : সংসারে নজর নেই। সারাক্ষণ ফোনে ব্যস্ত থাকে স্ত্রী। তাই স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। সন্দেহ এতটাই গাঢ় হয়ে উঠেছিল যে স্ত্রীর সঙ্গে সৎ ছেলেকেও কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গেল নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকায় ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাহেরপুরের বাদকুল্লা বাপুজিনগরে বাসিন্দা সুফল বিশ্বাস পেশায় ট্রাক চালক। গত ছ’বছর আগে গাংনাপুরের এরুলি এলাকার এক বিধবা মহিলা শুক্লা বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর শুক্লার ছেলেও তাঁদের সঙ্গে থাকত (Taherpur Murder Case)।

    আত্মীয়দের দাবি, মহারাষ্ট্রে ট্রাক চালকের কাজ করত সুফল। তাই বাড়িতে বেশি আসতে পারত না। শুক্লা এখানে ছেলের সঙ্গে একাই থাকত। সুফলের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ওই মহিলা একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন। শুক্লার এই কাজ পছন্দ হয়নি সুফলের। তাঁর ধারণা হয় শুক্লা কোনও পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বাড়িতে আসলেই দম্পতির মধ্যে এই নিয়ে অশান্তি হত।প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বাপুজিনগরের বাড়িতে এসেছিল সুফল। বাড়িতে ঢুকেই সে স্ত্রীকে কোপাতে থাকে। সঙ্গে দশ বছরের সৎ ছেলেকেও নৃংশসভাবে কুপিয়ে খুন করে।

    এই ঘটনা টের পেয়ে সুফলের বাড়িতে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সুফল পালাতে গেলে তাঁরা ওই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। এরপরেই তাহেরপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

    রাতভোর জেরার পর পুলিশের জেরায় পর সুফলের দাবি, তিনি স্ত্রীকে মোবাইল কিনতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথা উপেক্ষা করে মোবাইল কিনেছিলেন শুক্লা। তারপরে সংসারের কাজে মন ছিল না স্ত্রীর। সারাক্ষণ ফোনেই ব্যাস্ত থাকত। এতেই তাঁর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে, যে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী।