|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক
সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ক্যাম্পে আটক রাখার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির কর্মকর্তারা এটিকে বলছেন বিনামূল্যে ভকেশনাল টেনিং সেন্টার। কিন্তু সেখান থেকে যারা ফিরে আসতে পেরেছেন- তারা বলছেন এটা আসলে একটা বন্দিশালা। সেখান থেকে ফিরে আসা কাজাখ বংশোদ্ভূত আইবোটা সেরিক তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ওই ক্যাম্পে আমি ৭দিন ছিলাম। আমার মনে হয়েছে ওই ক’টা দিন আমি জাহান্নামে ছিলাম। সেখানে আমার হাতে হাতকড়া, পা এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় অন্ধকার কক্ষে আটক রাখা হয়েছে। আমাকে হাত উপরের দিকে তুলতে বলে গরম পানি ঢেলে দেয়া হতো। আমি তখন শুধু চিৎকার করতাম। এ সময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়তাম। আমার আর কিছু মনে পড়ে না। তারা বলতো আমরা দৈত নাগরিকরা দেশের শত্রু বিশ্বাসঘাতক। আইবোটা সেরিকের বাবা কুদায়বেরগেন সেরিক ছিলেন চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিজিয়ান প্রদেশের তেচেং এলাকার একটি মসজিদের ইমাম। ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারিতে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আর কোন হদিস পায়নি পরিবার। পুলিশ বলছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কিন্তু গত এক বছরেও বাবার সন্ধান পাননি মেয়ে। কাজাখস্তানের আদালত প্রাঙ্গণে বাবার একটি ছবি দেখিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি জানি না আমার বাবার কী দোষ ছিল। আমার জানা মতে, আমরা এ দেশের কোন আইন ভঙ্গ করিনি। এ কথা বলতে বলতে তিনি কাঁদতে থাকেন। মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সেখানে আটক বন্দিরা কোন আইনি সহায়তা তো পানই না। তাদের সঙ্গে পরিবার পরিজনদেরও দেখা করতে দেয়া হয়না। বছরের পর বছর ধরে বিনা করণে শুধু মুসলমান হওয়ার ‹অপরাধে› তাদের আটক রাখা হচ্ছে। বিবিসি।