|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচনের আগে অক্সিজেন পেল বামেরা? প্রায় ২৫ বছর পর বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করল তারা। আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিহারে ২৯টি আসনে লড়াই করেছিল তিন বাম দল। পরিস্থিতির বড়সড় পরিবর্তন না হলে এর মধ্যে ১৮টি আসনে জিততে পারে তারা। অর্থাৎ বামেদের স্ট্রাইক রেট (লড়া এবং এগিয়ে থাকা আসনের অনুপাত) ৬০ শতাংশের বেশি। এমনকী, স্ট্রাইক রেটের নিরিখে বিজেপি ও কংগ্রেসের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বামেরা।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার মোট ২৯টি আসন ভাগাভাগি করেছিল তিন বাম দল-সিপিআই, সিপিএম এবং সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। এর মধ্যে সিপিআই (এমএল) ১৯, সিপিআই ৬ এবং সিপিএম ৪টিতে প্রার্থী দেয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিহারে সিপিআই (এমএল) ১১ এবং অন্য দুই বাম দল ২টি করে আসনে এগিয়ে। ইতিমধ্যে তিনটি বাম দলই একটি করে আসন দখল করেছে। ফলাফলের এই ধারা বজায় থাকলে বামেদের ঝুলিতে ১৮টি আসন আসতে চলেছে। মাত্র ২৯টি আসনে লড়াই করে অর্ধেকের বেশি আসনে জয় পাওয়া মোটেও সহজ নয় বলছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনীতিবিদরা বলছেন, বিহারের এই লড়াই বামেদের নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে। বাংলা, ত্রিপুরার মতো শক্ত ঘাঁটি হাতছাড়া হওয়ার পর দেশজুড়ে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছিল লাল শিবির। বাংলায়ও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছে তাঁরা। এদিকে বিহারে বামেদের তুলনায় কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট অনেকটাই কম। ফলে বিহারের পরিসংখ্যান হাতিয়ার করে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষিতে নামতে পারে তাঁরা। আবার বিহারের এই জয়ই বাংলার বামকর্মীদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
কোন সমীকরণে বিহারে তুলনামূলক ভাল ফল করল বামেরা? এর পিছনে বেশ কিছু ফ্যাক্টরকে তুলে ধরেছে রাজনৈতিক মহল। এর মধ্যে অন্যতম শ্রমজীবী মানুষের প্রতি বঞ্চনা। লকডাউনে কাজ হারিয়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। তাদের সমস্যার কথা বামেদের মতো করে অন্যরা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জাতীয় রাজনীতির বদলে স্থানীয় সমস্যা, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন বাম নেতারা। ফলে জাতপাতের অঙ্ক বাদ দিয়েই তাদের ঝুলিতে এসেছে সম্পূর্ণ ভোট। বিহারের মতো এই সমীকরণ কি বাংলায়ও কাজ করবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দলীয় নেতৃত্ব।