জল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জলতীর্থ এগিয়ে চলেছে সাফল্যের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জল সম্পদ অনুসন্ধান দপ্তর লাল মাটির জায়গা বলে চিহ্নিত বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের কিছু অংশের জন্য জল সংরক্ষণের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে ১.৪৫ লক্ষ একর জমিতে। এই অঞ্চলে জলের স্তর খুবই নীচে এখন জল সঞ্চয় করা কষ্টসাধ্য।

    জল ধরো জল ভরো প্রকল্প ঘোষিত হয় ২০১১ সালে। এরপর ২০১৫ সালে জলতীর্থ প্রকল্প নেওয়া হয় লাল মাটির এই জেলাগুলির জন্য। বিভিন্ন পুকুর, ট্যাঙ্ক খনন ও তৈরী করা হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে এই জল সঞ্চয় করা যায়।

    গত আট বছরে প্রায় ১৩,৯৪৫টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে লাল মাটির জেলাগুলির জন্য। ৯০০টি জল সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক, ২৮৭টি চেক ড্যাম তৈরী করা হয়েছে জল সংরক্ষণের জন্য। এই প্রকল্পের মধ্যে ১৪১টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত।

    রাজ্য জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তর ‘জলতীর্থ’ প্রকল্পের অধীনে ৯৯৫টি ওয়াটারশেড এবং চেক ড্যাম তৈরী করেছে। এর মধ্যে বাঁকুড়ায় আছে ১৭৬টি, বীরভূমে ৫৭টি, ঝাড়গ্রামে ৭৫টি, পুরুলিয়ায় ৪২৭টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২২৪টি। নোনা জলের অঞ্চল যেমন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনেও এই প্রকল্পের কাজ চলছে।