বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আচমকা ঢুকেপরেন মিমি। রোগীদের থেকে শুনলেন বিভিন্ন অভিযোগ

সামিম আহমেদ, নতুন গতি, বারুইপুর : বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আচমকা ঢুকেপরেন মিমি। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন অভিযোগ সমন্ধে জানলেন তিনি। তিনি প্রথমেই হাসপাতালে ঢুকে জরুরি বিভাগের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। মহিলা বিভাগে গিয়ে আলাদা করে রোগীদের সঙ্গে একান্তে সমস্যার কথা শোনেন তিনি।

    সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে মাত্র ২ জন চিকিৎসক শুনে হতবাক হয়ে যান সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তিন দিন আগে এই হাসপাতালে যাঁর মেরুদণ্ডে জটিল ও সফল অপারেশান হয়েছে সেই কুলতলির রবিউল লস্করকেও দেখতে যান সাংসদ।

    এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি আজ থেকেই দ্রুততার সাথে দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা গুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি হাসপাতালের  চিকিৎসকদের ভালো কাজের প্রশংসা ও করলেন সাংসদ। এদিন সাংসদ আসার খবর জানা যেতেই তড়িঘড়ি বারুইপুর হাসপাতালের সামনে কুলপি রোডের বেহাল রাস্তার মেরামতের চেষ্টা করা হয়। ভেঙে যাওয়া রাস্তা ও গর্ত বুজিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

    এদিন সাংসদ আসার খবর জানা যেতেই তড়িঘড়ি বারুইপুর হাসপাতালের সামনে কুলপি রোডের বেহাল রাস্তার মেরামতের চেষ্টা করা হয়। ভেঙে যাওয়া রাস্তা ও গর্ত বুজিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এমনকি হাসপাতালের ভেতরে রীতিমত পরিস্কার করে কার্পেট পেতে দেওয়া হয় এমারজেন্সি থেকে ভেতরে যাওয়ার মুখে।

    হাসপাতালের কর্মীরা অভিযোগ করেন, শিশু বিভাগে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সন্ধের পর পাওয়া যায় না। মেডিশিন বিভাগের চিকিতসক মাত্র ২ জন আছে যার দরুন বেলা ১২ টার সময় আউটডোর শুরু হলেও ২ টোর পর চিকিৎসক আসে যা শুনে হতবাক হন সাংসদ। ১২ ঘন্টা  ধরে শিশু চিকিৎসক কেন পাওয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই ব্যাপারে সাংসদ বলেন, হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা যাতে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকে তা তিনি দেখবেন। রাতে যাতে রোগীদের ফিরে যেতে না হয় তাও দেখা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি হাসপাতালের চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চলে যাওয়ায় ৬ মাস ধরে সমস্যা হচ্ছে বলে জানানো হয়। শুনে হতবাক হয়ে কারন জানতে চান হাসপাতালের কর্মীদের কাছে। হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত চাপের পাশাপাশি চিকিৎসকের অভাবের কথা জানান তারা।