|
---|
সাকিব হাসান,সোনারপুর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে হুহু করে বেড়ে ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। এবার তৈরি হয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। সেই আশঙ্কা থেকেই সকলকে ভ্যাকসিনেসন করতে তত্পর হয়েছে রাজ্য সরকার। সকলকে যত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনেসন করা যায় সে ব্যাপারে দ্রুত চলছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভ্যাকসিন হল অ্যান্টিজেন যা আমাদের শরীরে ভাইরাসের আক্রমণ রুখতে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়। কিন্তু শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে যায়। এবার কিন্তু করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নেওয়ার পরেই মৃত্যু হল নরেন্দ্রপুরের এক যুবকের। ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতার পিজি (SSKM) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেন। এরপর (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই মারা যায় ২৭ বছরের ওই যুবক সুরজিত ব্যানার্জি। এমনটাই দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার বিষয়টি সেই এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। তবে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেও কি কারণে মৃত্যু হল এই যুবকের ধন্দে গোটা পরিবার। কিন্তু অন্যদিকে দেশে করনা ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও মৃত্যু হচ্ছে বলে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেই কারণেই মানুষের মনে বিভ্রান্তির যাতে না তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সকলের সামনে তুলে ধরেছে কেন্দ্র। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মৃত্যু হলেই তাকে ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে ধরে নেওয়া চলবে না। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখেই তাকে ভ্যাকসিন এর প্রভাবে মৃত্যু বলে ধরা হবে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয় এই রিপোর্টগুলি এখনও অসম্পূর্ণ। যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেই এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার নরেন্দ্রপুর থানা গড়িয়া বোড়াল লেকপল্লী এলাকায়। মৃত যুককের নাম সুরজিত ব্যানার্জি। বয়স ২৭। গত ২২শে জুন কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার আতাবাগান আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ভ্যাক্সিন নিয়েছিলো ঐ যুবক। পরিবারের দাবি তারপরেই অসুস্থ হয়ে পরে সুরজিত। প্রথমে জ্বর তারপর বমি, পরে গায়ে ছোপ ছোপ কালো দাগ। বুধবার সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।