নতুন জীবনে পা দিলেন ২০ জোড়া দম্পতি,গণবিবাহে কনেকে উপহার হিসেবে দেওয়া হল সোনা

মহম্মদ নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: করোনা আবহের মাঝেই এক হল ২০ জোড়া হাত। শীতের সকালে বিবাহ বন্ধনে বাধা পড়লো ২০ জোড়া যুবক-যুবতী। এই বিশাল গণবিবাহ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

    মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি অর্গানাইজেশন অর্থানুকুল্যে এবং জামাতে ইসলামী হিন্দ এর ব্যবস্থাপনায় মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর মিটনা সোলেমিয়া হাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল এই গণবিবাহ উৎসব।

    গণ বিবাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের মিটনা এলাকায়। শুধু রীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, ছিল বরযাত্রী কনেযাত্রীদের আপ্যায়ন, তাঁদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার বিপুল আয়োজনও।বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেলার রূপ নেয় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ।

    নবদম্পতিকে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে উপহারে দেওয়া হয় বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে পাত্রী পক্ষকে একভোরি সোনা। এ ছাড়াও তাঁরা যাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান তারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। এই গণবিবাহের মূল আয়োজক বায়তুশ সারিকা আল খায়ের নামক একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখপত্র আবদুল ওদুদ বলেন, সারা বছর ধরে এই গণবিবাহের প্রস্তুতি চলে। পাত্র পাত্রীর নাম নথিভুক্ত করা হয়। অনেকেই আর্থিক কারণে আড়ম্বরের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করতে পারেন না। অথচ বিয়ে নিয়ে অনেকেই অনেক স্বপ্ন দেখেন। তাই পাত্র-পাত্রীদের মনের মতো করে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল।

    পাত্রীকে এই বিয়ে উপলক্ষে এক ভরি সোনা এবং পাত্রপক্ষকে পাঁচ ‌‌হাজার টাকা দেনমোহর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পাত্র-পাত্রী দু’জনকেই নতুন পোশাক দেওয়া হয়।