বাগরোলের আক্রমণে আহত ৫ জন! মগরাহাটের গোকর্ণী এলাকায় বাগরোল আতঙ্ক

বাইজিদ মণ্ডল মগরাহাট:- এদিন সন্ধ্যা নামার পরে গোকর্ণীর লস্কর পাড়ায় ফকিরপাড়া এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। চাঞ্চল্য পড়ে যাই এলাকায়। প্রথমে একজনকে আক্রমণ করে, এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজির পরে এক ঝোপের মধ্যে দেখা যায় হিংস্র চার পাঁচটি বাগরোলকে।খবর দেয়া হয় মগরাহাট থানাকে, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পরে অন্ধকারের মধ্যে এক মহিলাকে আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়তে আতঙ্ক ছড়াই এলাকায়। হিংস্র এই বাগরোল আরো ৪-৫ জনকে আক্রমণ করে। তিনজন জয়নগরের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি দুজন মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। অবশেষে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ধরা পড়ল বাগরোলটি গতকাল সন্ধ্যার পর বাগরোলকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। আজ সেই বাগরোলটিকে ধরার জন্য বন দপ্তরের কর্মীরা ও মগরাহাট থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চলছে খাঁচা পাতার কাজ। সূত্রে খবর শুক্রবার সন্ধ্যা নামার পরপর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা মগরাহাট গোকনী এলাকায় বাগরোলের আতঙ্ক ছড়াই। গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ করে। প্রায় সাত আট জন শিশু ও মহিলাকে আক্রমণ করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একসঙ্গে গোকুনি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই প্রাণীটি আক্রমণ করে। লস্কর পাড়া,ফকির পাড়া ,মোল্লাপাড়া ,গুলিপাড়া সহ ৭ও ৮ জনকে আক্রমণ করে। খবর আশায় মগরাহাট থানার পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা গতকাল রাত থেকেই পাহারাই ছিল এলাকায়। মগরাহাট থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুল শেখ নিজেও গতকাল রাত থেকে এলাকা পরিদর্শনে ছিলেন।এদিন ডায়মন্ড হারবার বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার দেবাশীষ পালের উপস্থিতিতে চলছে খাঁচা পাতার কাজ। রেঞ্জ অফিসার বলেন, মুরগি দিয়ে এই খাঁচায় টপ দেওয়া হয়েছে যাতে সহজে ধরা যায় ওই বন্য প্রাণীটিকে। আতঙ্ক এখনও কাটেনি এখনো আতঙ্কের পরিবেশ গোকর্ণী এলাকায়।