বইমেলার শেষ দিন মৃণাল সেন মুক্তমঞ্চ মাতিয়ে দিল উদার আকাশ

সংবাদদাতা : বইমেলার শেষ দিন মৃণাল সেন মঞ্চ মাতিয়ে দিল উদার আকাশের উদ্যোগে আয়োজিত সাহিত্য উৎসব ও গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠন। উদার আকাশ পত্রিকা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রবীর ঘোষ রায়ের সুযোগ্য সঞ্চালনায় প্রথমেই উদার আকাশের সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে ছুঁয়ে যান উদার আকাশের পথ চলা ও ভবিষ্যৎ দায়িত্বের কথা। অনুষ্ঠান শুরু হয় রাজর্ষি ভট্টাচার্যের গাওয়া লোকগান দিয়ে। উপস্থিত শ্রোতারা প্রথমেই একাত্ম হয়ে যান রাজর্ষির গানের সঙ্গে উদার আকাশের অনুষ্ঠানে। এরপর কবিতায় ও বক্তব্যে ছিলেন ওয়াচ টাওয়ারের সম্পাদক সিদ্ধার্থ বসু, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মইনুল হাসান, অধ্যাপক ও ভাষা ও চেতনার কর্ণধার ইমানুল হক, লেখক মোঃ আবেদ আলী, কবি মনিরা খাতুন, কবি ইমদাদুল হক নূর, কবি জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক নবনীতা বসু হক, অধ্যাপক তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক রতন ভট্টাচার্য, কবি সীমান্ত বসু, কবি অরূপ বন্দোপাধ্যায়, কবি লিটন রাকিব, কবি অর্ণব বসু, অধ্যাপক শর্মিষ্ঠা সিনহা, কবি পূরবীতা মজুমদার, প্রাবন্ধিক সুব্রতা ঘোষ রায় প্রমুখ। স্বনামধন্য অমিত কালী গাইলেন তাঁর এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বইমেলাকেন্দ্রিক মিষ্টি গান। অনুষ্ঠানে অল্প কিছু সময়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন গুরুচন্ডালির প্রাণপুরুষ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উদার আকাশ প্রকাশন সংস্থা থেকে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক মইনুল হাসান দুটি গ্রন্থ উদ্বোধন করেন স্বনামধন্য সাংবাদিক অমল সরকার-এর গবেষণা গ্রন্থ ‘বাবরি ধ্বংসের তিন দশক ষড়যন্ত্র সুবিধাবাদের আখ্যান’ ও বাংলাদেশের লেখক সোনিয়া তাসনিম-এর ‘বিস্তীর্ণ জলছবি’-র দ্বিতীয় সংস্করণ। যাঁদের আন্তরিক সহযোগিতায় উদার আকাশ বইমেলায় বিপণী সচল রাখেন, তাঁদেরকে এই অনুষ্ঠানের শেষে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। মতিঝিল কলেজের ইংরাজির অধ্যাপক ড. কমল সরকার ও তাঁর সুযোগ্য তিনজন কৃতি ছাত্র সমরজিৎ দত্ত, শতায়ু সরকার, রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয় উদার আকাশ প্রকাশনের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুস্তকপ্রেমী অনেক গুণীজন। উদার আকাশ স্টলে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক অমল সরকার।