|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে সম্পন্ন হল ডিডিসি (ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল)-র প্রথম দফা নির্বাচন। প্রায় ৭০ বছর পর ডিডিসি ভোট হচ্ছে উপত্যকায়। ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা রদের পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বেলা ২টো পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট পড়েছে ৩৯.৬৯ শতাংশ। মোট ২৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় মোট ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি কাশ্মীরে ও ১৮টি জম্মুতে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ২১৪৬টি পুলিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে ভোটগ্রহণের জন্য। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৪২৭ জন প্রার্থী। প্রথম দফায় ভোটে লড়েছেন ২৯৬ জন প্রার্থী। ভোটদান করেছেন প্রায় ৭ লক্ষ ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩.৭২ লক্ষ ভোটার কাশ্মীরের আর জম্মুর ভোটার ৩.২৮ লক্ষ। প্রথম দফার ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনী লড়াই ত্রিমুখী হচ্ছে। উপত্যকার প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি জোট বেঁধে লড়ছে। ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন জোরার করতে একত্রিত হয়েছে উপত্যকার এই প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি। এ ছাড়াও ভোট ময়দানে রয়েছে বিজেপি এবং আপনি দল। ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), পিডিপি-সহ একাধিক প্রথম সারির দলগুলি একজোট হয়ে (অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লেয়ারেশন) লড়ছে বিজেপি ও আপনি দলের বিরুদ্ধে। ফলে লড়াই ত্রিমুখী। মোট ৮ দফায় এই নির্বাচন হবে। ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ পর্ব সমাপ্ত হবে। ২২ ডিসেম্বর হবে ফল ঘোষণা। যদিও এই ভোটে প্রাণ নেই বলে দাবি করেছেন গোপকুর জোটের প্রার্থী তথা পিডিপি নেতা আলি মুহাম্মদ শাহ। তিনি বলেন, ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা তুলে নেওয়ার পর কাশ্মীরিদের জন্য আর কি বা বাকি থাকল? এই ভোট নিয়ে তাই কাশ্মীরিদের মধ্যে আগের মতো আর সেই স্বতঃস্ফূর্ততা, উন্মাদনা নেই। এই ভোটের কোনও অর্থই নেই কাশ্মীরিদের কাছে। তাঁর দাবি, মানুষ এতটাই ভোটবিমুখ যে তাঁদের ভোটদানে রাজি করানোই অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আসলে ৫ আগস্টের (৩৭০ রদ) পর থেকে কাশ্মীরের মানুষ আশা হারিয়ে ফেলেছে। তারা আমাদেরকে এইসব নিয়েই জিজ্ঞাসা করছে। কাশ্মীরিরা নিজেদের প্রতারিত মনে করছে।