কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর ৯৪তম জন্মদিন

অতিথি লেখক: ড. শান্তনু পাণ্ডা

    ১৯২৬ সালে ১৪ ই জানুয়ারী মহাশ্বেতা দেবী বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আদিম জনজাতিদের মধ্যে “ম” হিসেবে পরিচিত। তিনি ছিলেন উপন্যাসিক, সাহিত্যিক, লেখিকা, সমাজ সেবি, এক্টিভিস্ট। তাঁর সৃষ্টিশীলতার মূলমন্ত্র ছিল “সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের সুখ দুঃখের সাথি হয়ে আনদোলনের রূপরেখা তৈরি করা”। সমাজে যারা নিপীড়িত, অত্যাচারীত ও অবহেলিত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই মহীয়সী নারী। তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল আদিম জনজাতি ও তাদের অধিকার। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক প্রকাশ ‘অরন্যের অধিকার’। ষাটের দশক থেকে নব্বই এর দশক পর্যন্ত তাঁর অনবদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ হল: ক্ষুধা, মার্ডারের মা, হাজার চুরাশির মা, তিতুমীর, অগ্নিগর্ভ, স্তনদায়িনী ও অনান্য গল্প, মহাশ্বেতা দেবীর শ্রেষ্ঠ গল্প, মহাশ্বেতা দেবীর গল্প, তালাক ও অনান্য গল্প, গ্রাম বাংলা, বন্দোবস্তী, ধানের শীষে শিশির, নীল ছবি, গনেশ মহিমা, ইটের পরে ইট, শালগিরার ডাকে, চট্টিমুন্ডা এবং তার তীর, ঝিঁসীর রানী, লায়লী আসমানের আয়না, হাজার চুরাশির মা (নাটক) , হরো: একটি ব্লু-প্রিন্ট এবং সম্পাদিত গ্রন্থ হল ‘জিম করবেট অমনিবাস ( ১ ম, ২য়)। ১৯৭৯ সালে সাহিত্যে একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৬ সালে সাহিত্যের সেরা সম্মান ‘জ্ঞানপীঠ’ পুরস্কারে সম্মানিত হন। ‘অরন্যের অধিকার’ উপন্যাসের জন্য ‘রামোন ম্যাগসাইসাই ‘ পুরস্কার পান। তাঁর উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে ‘রুদালি’ সিনেমা। জন্মদিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম একজন আদিম জনজাতির গবেষক হিসেবে।