|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : বিহার নির্বাচনে একাই লড়ার কথা জানিয়ে দিল রামবিলাস ও চিরাগ পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি৷ যা বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কাছে কিছুটা হলেও ধাক্কা৷ কয়েকদিন ধরেই বিহারে একক শক্তিতে লড়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল এলজেপি৷ মূলত নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর সঙ্গে বিরোধিতার জেরেই এলজেপি এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে৷
কয়েকদিন আগেই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে এসেছিলেন রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ান৷ তাঁর দাবি ছিল, যত শিগগিরই সম্ভব আসন বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে৷ তা না হলে তাঁরা নিজেরাই একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দেবেন৷ এমন কি, নীতীশ কুমার সহ জেডিইউ প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও এলজেপি প্রার্থী দেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন চিরাগ৷ এ দিনের দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পরই এনডিএ-এর বাইরে বেরিয়ে একক ভাবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা করে এলজেপি৷
এর আগে ২০১৭ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনেও একাই লড়েছিল এলজেপি৷ যদিও ভোটের ফলে ঘোষণার পর দলের একমাত্র বিধায়ক নির্বাচিত বিজেপি সরকারেই যোগ দিয়েছিলেন৷ তার আগে ২০১৪ সালে জম্মু কাশ্মীরে এবং ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনেও কেন্দ্রে এনডিএ-এর শরিক দল হওয়া সত্ত্বেও একাই লড়েছিল এলজেপি৷
একা লড়লেও এলজেপি নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে বিহারে প্রার্থী দিলেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া হবে না৷
এলজেপি-র দাবি ছিল, বিহারে ৪২টি আসনে তাদের ছাড়তে হবে৷ যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব৷ এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান দাবি করেছিলেন, বিহারের ২৪৩টির মধ্যে ১৪৩টি আসনে প্রার্থী দেবেন তাঁরা৷ বিহারে এনডিএ জোট ক্ষমতায় এলে নীতীশ কুমারই যে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যদিও নীতীশের কড়া সমালোচক হিসেবেই পরিচিত চিরাগ পাসোয়ান৷ ফল জেডিইউ-কে নিয়েই বিজেপি-র সঙ্গে তাদের মূল বিরোধ৷ তবে বিজেপি-র সঙ্গে যে এলজেপি সম্পর্ক ছিন্ন করছে না, তাও এ দিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷