আনিশ খান খুন: শান্তিপূর্ণ মিছিল নিল হিংসাত্মক চেহারা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শান্তিপূর্ণ মিছিল বদলে গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে। ছাত্রনেতা আনিশ খানকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিল পড়ুয়ারা। মোমবাতি হাতে শান্তিপূর্ণ মিছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হিংসাত্মক চেহারা নিল। রাস্তায় পুলিশের যাবতীয় ব্যারিকেড রাস্তায় উলটে ফেলতে ফেলতে পার্ক সার্কাসের মোড়ের দিকে এগিয়ে গেল পড়ুয়ারা। যেখানে গিয়ে মানববন্ধন তৈরি করে রাস্তা অবরোধও শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, দ্রুত বিচার।

    আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ্মপুকুর মোড় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল যাবে বলেই খবর ছিল বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের কাছে। কিন্তু মাঝপথেই তা হঠাৎ মোড় নেয় পার্ক সার্কাস মোড়ের দিকে। যা নিয়ে পুলিশ পড়ুয়াদের বোঝাতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাস্তায় পুলিশের দেওয়া সব ব্যারিকেড উলটে ফেলতে শুরু করে তারা। মিছিল থেকে আনিশকে খুন করা হয়েছে দাবি করে দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানায় পড়ুয়ারা। পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাক্রম সামনে তুলে এনে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তারা।

    প্রসঙ্গত, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে এসে তিনতলা থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ। হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় যা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। যে রেশ সন্ধেয় ছড়িয়ে পড়ে কলকাতায়। পরিবার সূত্রে খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন আনিশ।

    দিনতিনেক আগে আমতার বাড়িতে ফেরেন। গতকাল এলাকায় একটি জলসায় যান আনিশ। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পর, গভীর রাতে চারজন বাড়িতে আসে। এদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বাবাকে আটকে রেখে আনিশকে নিয়ে তিনতলায় উঠে যায় বাকি তিনজন। এরপর কাজ মিটে গেছে বলে জানিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এলাকায় প্রতিবাদী মুখ বলে পরিচিত ছিলেন আনিস। এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে আমতা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রের মাথার পিছনে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত আনিশের বাঁ পায়ের নিচের দিকেও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।