আড়বাঁশিতে সুর তুলে প্রথম স্থান অধিকার করলেন বীরভূমের সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:-জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায়, আড়বাঁশিতে সুর তুলে প্রথম স্থান অধিকার করলেন বীরভূমের সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বহু প্রতিযোগী। তবে সেই সকল প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করে জেলাকে গর্বে ভরিয়ে দিলেন বীরভূমের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সোহং দে সরকার।আড়বাঁশিতে সুর তুলে প্রথম স্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে সিউড়ির রামকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দা সোহং দে সরকার। সে সিউড়ির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সোহং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতাটি হয় অনলাইনে, তবে মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ।সোহং ভুবনেশ্বরের বংশী গুরু হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার গুরুকুল থেকে নিয়মিত বাঁশির তালিম নেন। সেখান থেকেই কিছুদিন আগে এই অনলাইন প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানানো হয় এবং তাতে আবেদন করতে বলা হয়। তারপর সে ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার আয়োজক অর্থাৎ পণ্ডিত রূপক কুলকার্নি ফ্রুট অ্যাকাডেমি৷ প্রতিযোগিতার শর্ত হিসাবে একটি শাস্ত্রীয় সংগীতের ধুন রেকর্ডিং করে অনলাইনে পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই ধুন হতে হবে আট মিনিটের মধ্যে। সেইমতো সোহং একটি রাগ বাজিয়ে পাঠান। আট মিনিট সময়সীমা দেওয়া হলেও সোহং তা সাড়ে সাত মিনিটের মধ্যেই শেষ করে ফেলেন।পরে সেই ধুন ভিডিও রেকর্ডিংটি আয়োজক সংস্থার কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠান সোহং। এরপর বাকি অন্যান্যদের পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সোহংয়ের সেই ধুন বিচার বিবেচনা করে আয়োজক সংস্থার তরফ থেকে সোহংকে জানানো হয় সে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন৷ তারপর সিউড়ি থেকে সোহং এবং তার পরিবারের সদস্যরা মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে ১৯ এপ্রিল প্রথম স্থান অধিকারের জন্য ট্রফি, সার্টিফিকেট সহ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীর হাতে। সোহংকে এই পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন খোদ পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। সম্প্রতি তারা সিউড়ির নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন।জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় এইভাবে প্রথম স্থান অধিকার করতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সোহং এবং তার পরিবার। তার বাবা রতন দে সরকার জানিয়েছেন, “আমরা খুবই আনন্দিত। সোহংয়ের প্রথম স্টেপ হচ্ছে এই পুরস্কার। এখান থেকে ও অনেক উৎসাহ পেল। তবে আগামী দিনে আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। সোহংয়ের গুরুজি জানিয়েছেন, আগামী দিনে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।”