|
---|
দলিত তরুণীকে বিয়ে করায় এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল গুরুগ্রামে
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : অপরাধ এতকাই, দলিত তরুণীকে বিয়ে। তার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল গুরুগ্রামে। রবিবার লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে পাঁচ জনের একটি দল ওই যুবকের উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে তাকে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজস্থানের অলওয়ারের বাসিন্দা নিহত ওই যুবকের নাম আকাশ সিংহ। পাঁচ মাস আগে এক তরুণীকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন আকাশ। গুরুগ্রামের ভোন্ডসীতে থাকতেন তাঁরা। রবিবার স্ত্রীকে নিয়ে বাদশাহপুরে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অটো রিকশায় চেপে যাচ্ছিলেন আকাশ। ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অভিযুক্তরাও। পাশ কাটাতে গিয়ে সেই সময় তাঁদের মধ্যে একজনের গা ছুঁয়ে যায় অটোটি। তাতেই অটো আটকে হুজ্জুতি শুরু দেন অভিযুক্তরা। লোহার রড, লাঠি এবং পাইপ নিয়ে নিয়ে আকাশের উপর চড়াও হন তাঁরা।
আকাশের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তরা। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে চম্পট দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আকাশের পরিবারের লোকজন। স্থানীয়দের সাহায্যে আকাশকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সফদরজংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় আকাশের। তবে পুলিশকে কোনও বয়ান দিয়ে যেতে পারেননি আকাশ।
নিহতের ভাই রাহুল সিংহ জানিয়েছেন, উচ্চবর্ণের ছেলে হয়েও দলিত তরুণীকে কেন বিয়ে করেছেন, তা নিয়ে আকাশকে বেশ কিছু দিন ধরেই শাসাচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। গ্রামে ঢুকলে তাঁকে উচিত শিক্ষা দেবেন বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। তা মিটিয়ে নিতে রবিবার ফের সেখানে পা রাখেন আকাশ। তার পরেই এই ঘটনা।
রাহুল আরও জানিয়েছেন, দাদা মার খাচ্ছেন শুনে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। কিন্তু পিস্তল দেখিয়ে তাঁকে খুন করার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পর ফের সেখানে যান তিনি। তত ক্ষণে অভিযুক্তরা চলে গিয়েছেন। তার পর আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালের তরফেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অজয়, পবন, রবি, লালু এবং ধর্মেন্দ্র পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।