|
---|
আসিফ আলম, নতুন গতি, বহরমপুর: আল্লাহ বলেন – তোমরা আমার রহমত হতে নিরাশ হয়ে যেওনা (আল কুরআন) আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু ও মেহেরবান। তিনি তাঁর গুনাহগার বান্দাদের জন্য সর্বদা তাওবার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। শিরক ব্যাতিত বান্দা যে কোন গুনাহই করুক না কেন খালেস তাওবা সাপেক্ষে তিনি তা ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বান্দা যখন স্বীয় ভুল বুঝতে পেরে মহান আল্লাহর দরবারে তাওবাহ করে তখন আল্লাহ্ তাআলা অনেক খুশি হন। কোন গুনাহগার বান্দা আল্লাহর নিকট তাওবাহ করলে তিনি কি পরিমাণ খুশি হন তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দার তাওবার উপর ঐ ব্যক্তি থেকেও বেশি খুশি হন, যে কোন বিপজ্জনক ময়দানে এমন বাহনের উপর চলছে যার উপর তাঁর খানাপিনার জিনিস রয়েছে এবং (এক সময় বাহন থেকে নেমে) সে ঘুমিয়ে পড়ে। জাগ্রত হয়ে দেখে যে, তাঁর বাহন কোথাও চলে গেছে। সে এটাকে খুঁজতে থাকে এবং অবশেষে যখন তাঁর কঠিন পিপাসা লাগে তখন সে বলে, আমি সেই স্থানে ফিরে যাব যেখানে প্রথম ছিলাম এবং মৃত্যু আসা পর্যন্ত সেখানেই শুয়ে থাকব। সুতরাং সে মৃত্যুর জন্য তৈরী হয়ে বাহুর উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। পুনরায় যখন সে জাগ্রত হয় তখন তাঁর বাহনকে খানাপিনার সামানসহ সে তাঁর সামনে দেখতে পায়। (নিরাশ হওয়ার পর) আপন বাহন ও পাথেয় পেয়ে যাওয়ায় ঐ ব্যক্তি যে পরিমাণ খুশি হয়েছে, মহান আল্লাহ্ তাআলা মুমিন বান্দার তাওবার উপর এর চেয়ে বেশি খুশি হন।( মুসলিম)