পথ শিশুদের পাশে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা, মহৎ প্রচেষ্টায় সামিল ‘আলোর দিশারী’

পথ শিশুদের পাশে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা, মহৎ প্রচেষ্টায় সামিল ‘আলোর দিশারী’

     

     

    কলকাতা : পথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েও যে ‘সমাজিক’ হওয়া যায়, পথ শিশুদেরকেও বিষাদ থেকে আনন্দে উজ্জীবিত করা যায়, তা ফের লোকচক্ষুর আড়াল থেকে দেখিয়ে দিলেন টলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। মহৎ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার যেন নতুন সমাজ গড়ার বার্তা দিলেন।

    প্রসঙ্গত, লকডাউন শিথিল হতেই পথ শিশুদের পাশে এগিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। হাতে তুলে দিয়েছিলেন বই, খাতা, পেন্সিল সহ বিভিন্ন অত‍্যাবশকীয় সামগ্রী।

    তবে ডিসেম্বর মাসের শুরুটাও যেন তার ব্যাতিক্রম হল না। শুক্রবার শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে পথ শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছেন ক্রিসমাসের উপহার। এ দিন কলকাতার মল্লিকবাজার, মৌলালী, কলেজস্ট্রিট ও সল্টলেকের প্রায় ২০০ পথ শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে নিজ হাতে তুলে দিয়েছেন সেইসব সামগ্রী। যার মধ্যে ছিল বিভিন্ন উপহার সহ খাবার সামগ্রী। যদিও, অভিনেত্রী পথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে সবটাই নিঃশব্দে করেছেন। এমনকি পোস্টও করেননি সোশ্যাল সাইটে।

    তবে অভিনেত্রীর এই মহৎ কর্মকান্ডের পিছনে রয়েছে ‘আলোর দিশারী’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠন বছরখানিক ধরে পথ শিশুদেরকে শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা সেখ রাহানাতুল্লার কথায়, ‘পথ শিশুরা আজ বড় অসহায়। তারা আজ বিভিন্ন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। এমনকি তারা অনেকেই শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত। তাই পথ শিশুদেরকে আলোর দিশা দেখানোই আমাদের অঙ্গীকার। যা আমরা পালন করে চলেছি। যদিও, সেই অঙ্গীকারে আমাদের সঙ্গে সায় দিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। আশা রাখি, সমাজের সকল মানুষ যদি এভাবে পথ শিশুদের পাশে থেকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পারেন সেটাই হবে সমাজের কৃতিত্ব। সেটাই হবে সমাজের গর্ব।

    যদিও, সেখ রাহানাতুল্লা নিজেও একজন ছাত্র। নিজে ছাত্র হয়ে ছাত্র সমাজ গঠনে অঙ্গীকার করার ডাক দিয়েছেন তিনি। তবে সেখ রাহানাতুল্লার সঙ্গে এমন কর্মকান্ডে এগিয়ে এসেছেন ইনজামাম হক, সোমদত্ত বিশ্বাস, নাসিম গাজী, রাকিবুল ইসলাম, মোফাজ্জেল গাজী সহ তারুণ্যে ভরা যুবকরা।