বেসরকারি পার্কিং জোন খালি করতে পণ্য লোডিং বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের

মালদা: মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরের বেসরকারি পার্কিং জোন খালি করতে পণ্য লোডিং বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের।ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী থেকে পণ্য লোডিং এর সাথে যুক্ত কয়েক লক্ষ শ্রমিকেরা।

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত কোন নির্দেশিকা জারি করা হয়নি এখনো। রবিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রপ্তানিকারকদের। প্রশাসনের নির্দেশে রবিবার থেকেই রপ্তানিকারকেরা পণ্য লোডিং আনলোডিং বন্ধ করে রেখেছেন। পণ্য লোডিং বন্ধ থাকায় সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে রপ্তানিকারক থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী লরি মালিক থেকে শ্রমিকদের।

    মহদিপুর পার্কিং এলাকায় লরিতে পণ্য লোডিং আনলোডিং করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক শ্রমিক। এছাড়াও ওই এলাকার লরি মালিকদের একমাত্র রোজগারের জায়গা আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে পণ্য আদান-প্রদান। ১৯৯২ সালে তৈরি হয়েছিল এই পার্কিং জোন। পার্কিং জোন তৈরি হয় ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নতি ঘটেছে চুরি-ছিনতাই এর মত অপরাধমূলক ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে সীমান্তবর্তী এলাকায় ।

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে পণ্য লোডিং বন্ধ রাখায় সমস্যায় পড়তে চলেছেন স্থানীয়রা। মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা সফরে এসে মহদীপুরে সরকারি পার্কিং তৈরীর কথা ঘোষণা করেন। সেইমতো সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে সরকারি পার্কিং তৈরীর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তারই জেরে স্থানীয় যে বেসরকারি পার্কিং জোন রয়েছে সেখানে গাড়ি লোডিং আনলোডিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি পার্কিং জোনটি সরকারের সাথে যৌথ ভাবে কাজে লাগানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পিপিটি মডেলে পার্কিং জোন তৈরি করার আবেদন করা হয়েছিল। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চান বর্তমানে বেসরকারি যে পার্কিং জোন রয়েছে সেটিকে সরকার যৌথ ভাবে পরিচালনা করার উদ্যোগ গ্রহন করুক। অন্যদিকে মহদীপুর সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি রাজ্য সরকারকে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করার জন্য তারা প্রস্তুত। কিন্তু আচমকা এই সিদ্ধান্ত নিলে তারা বিপদে পড়বে। কারণ সীমান্তে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক থেকে শুরু করে লরি চালক এবং ব্যবসায়ীদের আয় নির্ভর করে এই কাজে।