|
---|
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যাধুনিক অ্যাপাচে কপ্টারকে জলকামান দিয়ে স্বাগত জানানোর পর পুজো করে বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করানো হল মঙ্গলবার সকালে। আটটি বোয়িং এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে গার্ডিয়ান অ্যাটাক হেলিকপ্টার বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়ার হাতে তুলে দেন বোয়িং ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট সলিল গুপ্তে। পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অন্যান্য বায়ুসেনা আধিকারিকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতবদল হয়। অত্যাধুনিক ওই কপ্টারগুলিকে পুজো করেন এয়ারফোর্স চিফ এবং ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল আর নাম্বিয়ার।
জানাযায় ২০১৫ সালে ২২টি অ্যাপাচে কপ্টার কেনা নিয়ে আমেরিকা ও বোয়িং লিমিটেডের সঙ্গে ভারত সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। পাক সেনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য এবং স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকে সাহায্য করতেই অ্যাপাচেগুলিকে ব্যবহার করা হবে। আর সেই জন্য এগুলিকে পাঠানকোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গত ২৭ জুলাই এই কপ্টারের প্রথম চারটি এসে পৌঁছায় গাজিয়াবাদের হিন্দোন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। বেশ কয়েক ধাপ পরীক্ষার পর সেটিকে পাঠানো হয় পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।
ভারতীয় বায়ুসেনার মুখপাত্র অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আনুষ্ঠনিকভাবে ওই এয়ারক্রাফটগুলিকে বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল। বর্তমানে আমাদের কাছে আটটি এয়ারক্রাফট আছে। আস্তে আস্তে মোট ২২টি এয়ারক্রাফটকে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমাদের কাছে আগেও আক্রমণের উপযুক্ত কপ্টার ছিল। কিন্তু, এই এয়ারক্রাফটগুলি আরও বেশি বিধ্বংসী এবং নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে।’
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বিশ্বের সমস্ত দেশ বিষয়টিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মেনে নিলেও শান্তি পায়নি পাকিস্তান। সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি ও মর্টার ছোঁড়ার পাশাপাশি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করানোরও চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক অ্যাপাচে কপ্টারগুলি ভারতীয় সেনার মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও মঙ্গলবার এই কপ্টারগুলিকে পুজো করানোর দৃশ্য দেখে হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে অত্যাধুনিক কপ্টারকে পুজো করার বিষয়টি হজম করতে পারছেন না অনেকেই। এই বিষয়টি নিয়ে হাস্যকর মন্তব্যও করেন অনেকে।