বিদ্যুতের বিল না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

মালদা, ১০ জানুয়ারি: বিদ্যুতের বিল না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এমনকি শীতের রাতে রাস্তায় জখম ওই গৃহবধূকে ফেলে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলে অভিযোগ । রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার চামাপ্রতাপপুর এলাকায়। গভীর রাতে গৃহবধূর কান্নার শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এরপর তারাই জখম রক্তাক্ত গৃহবধূকে রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় জখম গৃহবধূর বাবা মহম্মদ নরসেদ শেখ শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তেরা।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম গৃহবধূর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫)। তার স্বামী মহম্মদ আহাদ আলী, ভিন রাজ্যের শ্রমিক। গত দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। ওই গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।

    জখম গৃহবধূ পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, তাদের পরিবারে প্রত্যেকে আলাদা থাকেন। এই মাসের ২৯০০ টাকা লাইটের বিল এসেছে। সেই টাকা সম্পূর্ণটাই আমাদের দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনভাগের একভাগ আমরা বিদ্যুতের বিল এতদিন দিয়ে এসেছি। সেই কথা জানানোর পরই রবিবার রাতে আমার স্বামীকে ঘরে বন্দী করে ব্যাপক মারধর করে।

    পুলিশ জানিয়েছে , এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর দুই দেওর আব্দুল কাদির, আজিম শেখ, শশুর হাসিমুদ্দিন শেখ, শাশুড়ি তাজমিরা বিবি এবং এক ননদ সাদিয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা পলাতক।

    এদিকে মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সংকটজনক অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে।