প্রাচীন সুড়ঙ্গ দেখতে পাওয়া গেছে চন্দননগরের রাস্তায় সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডসে এখন শুধুই চোখে পড়ছে চন্দননগর

নিজস্ব সংবাদদাতা : সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডসে এখন শুধুই চোখে পড়ছে চন্দননগর। নেটিজেনরা বলছেন প্রাচীন সুড়ঙ্গ দেখতে পাওয়া গেছে চন্দননগরের রাস্তায়। সেই সুরঙ্গ দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ও আসছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক আসল রহস্য এই সুড়ঙ্গর। দিন কয়েক আগে চন্দননগরের স্ট্যান্ড রোড জোড়া ঘাটের সামনে রাস্তার উপরে ধ্বস নামে। ধ্বস নামার পর মেরামতের দরুন রাস্তাখনন শুরু করা হয়। তা থেকেই বেরিয়ে পড়ে এই সুরঙ্গ। প্রথম দেখায় যে কারুর এদিকে সুরঙ্গ বলেই মনে হবে। পুরাতন ফরাসি আমলের ইটের তৈরি দেওয়াল। মধ্যিখানে থেকে একটি মানুষের হামাগুড়ি দিয়ে যাওয়ার মতন রাস্তা।সুড়ঙ্গের কথা ইন্টারনেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন ভিড় জমান এই সুরঙ্গ দেখতে। নেটিজেনরা বলছেন, চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় এরকম গুপ্ত রাস্তা আগে ছিল। চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে গির্জা ও বিভিন্ন জায়গায় নাকি এইরকম সুরঙ্গপথ ছড়িয়ে রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই সুরঙ্গ ধরেই হয়তো বিপ্লবীরা যাতায়াত করতেন। সুরঙ্গ দেখতে আসা এক ব্যাক্তি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখে তিনি দেখতে এসেছেন এই সুরঙ্গ। ঘটনাটি নজরে আসতেই সরজমিনে এলাকা পরিদর্শনে আসেন চন্দননগরের মেয়র পরিষদ রাম চক্রবর্তী । তার সঙ্গে ছিলেন পুরাতত্ত্ব আধিকারিক সহ পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা। মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, খিলানের গাঁথনি ও ইটের ধাঁচ দেখেই বোঝা যায় এই টি ফরাসি আমলের। এর আগেও পাতাল বাড়ির সামনে রাস্তায় ধস নেমছিলো সেখানেও মাটির তলা থেকে একই রকম সুড়ঙ্গ বেরিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু চন্দননগর ফরাসি দের এলাকা ছিল তাই ফরাসিদের সময়কালেই নিকাশি ব্যবস্থার জন্য এই আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেন গুলি তৈরি করা হয়। যেহেতু ড্রেন গুলির বয়স হয়েছে তাই কিছু কিছু জায়গায় সেগুলি ভেঙে ধ্বস নামছে। কিন্তু এতে চিন্তার কিছু নেই যেখানে যেখানে এই রকম হচ্ছে তৎক্ষণাৎ সেই রাস্তা গুলি মেরামতের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে।রাহী হালদার, হুগলি