|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি, শান্তিপুর:
“কেউ দেখতে পান না, কেউ হাঁটতে পারেনা। কেউ কথা বলতে পারে না, তো কেউ কানে শুনতে পারেন না। সম্পূর্ণ মন আর অর্ধেক শরীর নিয়ে এত কাল এই ভাবেই ওদের জীবন কাটছিল। ওঁদের জন্য কেউ ভেবে দেখার সময় পান নি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েও কিছু কাল আগেও ওরা আক্ষরিক অর্থেই ছিল বার্ত্য।
জীবন ধারণের জন্য সর্বক্ষেত্রেই পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে সমাজের মুলস্রোতে নিয়ে এসে নতুন করে ওঁদের বাঁচার আগ্রহ সৃষ্টির সহায়তায় এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই চালু হলো ওঁদের জন্য প্রতি মাসে সাম্মানিক ভ্রাতা দানের ব্যবস্থা ।
আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে সাধারণ মানুষের মতন জীবন যাপনে উৎসাহিত করতে মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওঁদের বিভিন্ন সরকারী সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে এনে আর্থিক সাহায্য দান করে আত্মনির্ভরশীল তৈরি করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় সরকারি সহায়তায় কৃত্রিম অঙ্গ , আনুষঙ্গিক যন্ত্র প্রদানের মাধ্যমে ওঁদের জীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।শুক্র বার, বিবেকানন্দ নগর কাজী বাড়ি মাঠ- এ প্রতিবন্ধীদের সরকারি সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যে এই কথা বলেন।
এদিনে, প্রতিবন্ধী ও তাঁদের পরিবারের বিভিন্ন সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনেন বিধায়ক অরিন্দম।অনুষ্ঠানে প্রায় সত্তরজন প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ধরণের সহায়ক সামগ্রী প্রদান করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির অন্যতম সদস্য নিরঞ্জন দাস, সভাপতি রিনা প্রামানিক, বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,উপ-প্রধান যথাক্রমে উন্নতি সর্দার, কাজল দত্ত, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি।