রানাঘাটও জেলা হতে চলেছে সেই আনন্দে সবুজ আবির ও মিষ্টিমুখ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান করে পালন করা হল আনন্দ উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্যে আরও নতুন সাতটি জেলা যোগ হবে। তার মধ্যে নতুন সংযোজন হয়েছে রানাঘাট জেলা। রানাঘাট নদিয়া জেলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পরে এবার রানাঘাটও জেলা হতে চলেছে। সেই আনন্দে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে রানাঘাট মহকুমা অফিসে স্থানীয় আইনজীবীদের সাথে নিয়ে সবুজ আবির ও মিষ্টিমুখ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান করে পালন করা হল আনন্দ উৎসব। রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান কৌশল দেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘রানাঘাটবাসি এবং রানাঘাটের নাগরিক হিসেবে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন রানাঘাট সদর শহর জেলাতে পরিণত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সেই স্বপ্নের সার্থকতা পেতে চলেছে আমাদের। অর্থাৎ আগামী ৬ মাসের মধ্যে রানাঘাট শহর পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত হতে চলেছে। জেলা সদর হয়ে গেলে রানাঘাটের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। আজকে আমাদের কৃষ্ণনগর সদর শহরে যেতে হলে অনেক পয়সা ব্যয় করে যেতে হত। সারাদিন সময় ব্যয় হত। এরপরে রানাঘাটে জেলা সদর হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের সময় ও পয়সা দুই বাঁচবে। একটি আর্থসামাজিক বদল আসতে চলেছে রানাঘাটে’।এ বিষয়ে রানাঘাট কোর্টের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় জানান, \” আমাদের এই রানাঘাট একটি সুপ্রাচীন শহর। এখানে রানাঘাট পৌরসভা আজকে ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন আমাদের সদর শহর কৃষ্ণনগর হাওয়াতে যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলাম সাধারণ লোক হিসেবে সেই অসুবিধার আজকে সমাপ্তি ঘটল। এই জেলা ঘোষিত হওয়াতে প্রত্যন্ত গ্রামের যে সমস্ত সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তার কারণ রানাঘাট মহকুমার অধীনস্থ শান্তিপুর, ধানতলা, হাসখালি এছাড়াও বহু দূর দূরান্ত থেকে লোক আসে। তাদের রানাঘাট আসাটা যতটা সহজ কৃষ্ণনগর যাওয়াটা ততটাই কষ্টসাধ্য। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে প্রত্যন্ত গ্রামের লোকেরা অত্যন্ত সুবিধা ভোগ করবেন এবং সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবে না বলে আমি মনে করি\”যদিও বেশ কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে, মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তে রীতিমত প্রতিবাদ করেছেন বাম নেতা সুবীর ভৌমিক। তিনি জানান রাজনীতিগতভাবে নদীয়া জেলা বরাবরই ভাগ করা ছিল এখন শাসকদলের দুর্নীতির কলঙ্ক দাগ মেটাতেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে রাজ্যের দুর্নীতির দিক থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘোরানো যায়।সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেউ লিখছেন ইতিবাচক কেউবা নেতিবাচক। অনেকেই মনে করছেন নদীয়ার গর্ব থেকে রানাঘাট কে হয়তো বঞ্চিত করা হচ্ছে আবার অনেকে মনে করছেন রানাঘাট নতুন জেলা হওয়ার পরে একাধিক সুযোগ-সুবিধা অনায়াসেই পাওয়া যাবে তবে বাস্তবে কি হতে চলেছে সেটি দেখা যাবে হয়তো জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পরেই।