শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গ্রেফতার জামাই

নিজস্ব সংবাদদাতা; মালদা: স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়ায় রাগে শশুর ও কাকা শশুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেরে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় মোথাবাড়ি কমলপুর এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জামাইয়ের নাম ইনজামামুল হক। আহত শশুর আব্দুল জব্বার ও কাকা শ্বশুর জিয়াউল হক বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীপুর গ্রামের মেয়ে আমিনুর খাতুন পার্শ্ববর্তী গ্রামের বেলতলা গ্রামের ছেলে ইনজামাম-উল-হককে প্রেম করে বিয়ে করে। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

    ছেলে প্রেম করে বিয়ে করলেও ছেলের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বধূ নির্যাতন ও দাবিতে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। অত্যাচারের ফলে মেয়ে আমিনুর খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে, মেয়ের বাবা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং এরপর মেয়ে ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করে। এতেই খেপে যায় ইনজামুল হক। গতকাল সকালে মত্ত অবস্থায় এসে শ্বশুরবাড়ি এসে শ্বশুর আব্দুল জব্বার ও জিয়াউল হকের সাথে ঝামেলার সৃষ্টি হয় এবং সরাসরি ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। শশুর ও কাকা শশুর জামাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।

    এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় গ্রামবাসী সহ এলাকায় ছুটে আসে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সায়েদ আলী হাসিমুদ্দিন আহমেদ ও মির জামিল।

    পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। এরপর গণরোষে সৃষ্টি হয় এবং এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়।

    পঞ্চায়েত সদস্য সায়েদ আলী পুলিশে খবর দেন এবং পরে পুলিশ এলে তিনি অপরাধীকে পুলিশের হাতে তুলে ধরেন তুলে দেন।

    গোটা ঘটনায় মেয়ের মা মোথাবাড়ি থানায় জামাই ও জামাইয়ের পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। জামাই গ্রেপ্তার হলেও অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে।