অভিনন্দনের প্রত্যাবর্তনে অন্যরকম কেন প্রধানমন্ত্রী, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চন্দ্রবাবু নাইডু

শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি ডেস্ক:

    ১৪ ফেব্রুয়ারী, জম্মু-কাশ্মীর পুলওয়ামা কাণ্ডে গোটা দেশ যখন শোকের আগুনে মুহ্যমান, সে সময়, নিন্দুকে বলেন, তিনি নাকি শুটিং এ ব্যস্ত, নির্বাচনী প্রচারও করেছিলেন, বুলেট ট্রেন উদ্বোধনেও ছিলেন। অথচ, তাঁর নিজের বক্তব্য শহীদ সেনা জওয়ানদের দুঃখে এতটাই মর্মাহত -কয়েক রাত্রী ঘুমাতে পর্যন্ত পারেন নি তিনি।

    অতঃপর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক -2 এবং ভারতীয় বায়ুসেনা উইং কমান্ডোর পাকিস্তান সরকারের কাছে যতক্ষন বন্দী ছিলেন, তখনও তিনি কিছু দাঁতে কাটতেও পারেন নি!
    এহেন, দেশপ্রেমী, দেশ ও দেশের সেনাহিতৈষী প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়স্পর্শী আন্তরিকতা সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলে দিলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্র বাবু নাইডু !

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রীতিমত সমালোচনা করে এদিন এক বার্তায় বলেন, ভারত সফর করতে আসা সৌদি সুলতান মোহাম্মদ – বিন- সালমান কে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সমস্ত কাজ ফেলে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান, আর ভারতবর্ষের একজন বীর নায়ক অভিনন্দন যখন শত্রু পক্ষের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করছেন—গোটা দেশ তাঁকে দেখার জন্য আনন্দ আবেগে উদ্বেল উচ্ছসিত তখন, প্রধান মন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশ-এ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সচেষ্ট!

    চন্দ্রবাবুর বক্তব্য’র সারমর্ম হলো, শত্রু পক্ষ পাক সেনার হাতে ষাট ঘন্টা মানুষিক-শারীরিক যন্ত্রনা ভোগ করে দেশের এক জন বীর যোদ্ধা অভিনন্দন দেশের সন্মান রক্ষা করে ফিরছেন, প্রধানমন্ত্রী কি পারতেন না রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করে অভিনন্দন কে অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত থাকতে।

    সাধারণত এমন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি অনিবার্য না হলেও যেহেতু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একটু স্পর্শকাতর, এবং দেশ এক বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে চলছে, যেহেতু, প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত দেশবাসীকে না না ভাবে আবেগতাড়িত করছেন, সেই প্রেক্ষাপটে অনেকেই চন্দ্রবাবুর মতকে সমর্থন করছেন ।