|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত ১ ছাত্র এবং ২ গবেষককে জামিন দিল আদালত। হিংসার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে গতবছর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এদিন দিল্লি হাই কোর্ট ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় দিল্লি পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান মেনে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো মানেই সেটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নয়।
গতবছর দিল্লি হিংসার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ‘পিঞ্জরা তোড়’ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই সদস্য নাতাশা নারওয়াল এবং দেবাঙ্গনা কলিতাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় জামিয়া মিলিয়ে ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ ইকবাল তানহাকেও। এই তিনজনের বিরুদ্ধেই UAPA ধারায় মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। তাদের অভিযোগ ছিল, এরা এই হিংসার ঘটনার ষড়যন্ত্রে যুক্ত। আজ সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মানুষকে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার সংবিধান নিশ্চিত করেছে। সেটা কখনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হতে পারে না। সেই সঙ্গে ওই তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে, শর্ত হিসেবে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জমা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেদের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এই মামলাকে প্রভাবিত করে, এমন কিছু পদক্ষেপ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভয়াবহ দাঙ্গার সাক্ষী হয় উত্তরপূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকাকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ইস্যু করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যাতে মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। বহু মানুষ আহত হন। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ইউএপিএ ধারায় বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই তিনজন। বস্তুত, মোদি সরকারের আমলে বহু ক্ষেত্রেই বিরোধীদের কন্ঠরোধের অভিযোগ উঠেছে। অনেকক্ষত্রেই অভিযোগ উঠেছে সরকার বিরোধী আওয়াজ তুলকেই বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। দিল্লি হাই কোর্টের বয়ানেও অনেকটা তারই প্রমাণ মিলল।