বালি অভিযানে দেহে ক্যামেরা রেখে নজরদারি শুরু ভূমি রাজস্ব দপ্তরের

প্রতিনিধি : আজিজুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন স্থানে বালির লরি বা বালি ঘাটে অবৈধ কারবারের অভিযান চালাতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েছেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের রাজস্ব আদায় বিভাগের আধিকারিকরা। বিভিন্ন সময়ে রাজস্ব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে রাজস্ব আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন বালি কারবারীরা। তবে এবার ওই বিষয় গুলির সমাধান করতে অভিনব উদ্দ্যোগ নিয়েছেন জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ইউনিস রিসিন ইসমাইল। অভিযানে নামা আধিকারিকদের দেহ ক্যামেরা লাগানো ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জানতে পারা গিয়েছে, বালির রাজস্ব আদায় সহ ঘাটে অবৈধ বালি তোলার অভিযান যে আধিকারিকের নেতৃত্বে টিম যাবে তার জামার সামনে লাগানো থাকবে ক্যামেরা। যাতে অভিযানের পুরো বিষয়টি ভিডিও ছবি ও শব্দ সহ রেকর্ডিং হবে ক্যামেরায়। অফলাইনে হওয়া রেকর্ডিংটি পরবর্তী সময়ে অফিসে এসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। এর সাথে সাথে যে গাড়ি নিয়ে আধিকারিকরা যাবেন সেই গাড়িতেও লাগানো থাকবে জিপিএস। যাতে ক্যামেরার সাথে গাড়ি লোকেশনও ধরা সম্ভব হয়। সম্প্রতি এমনই দেহ ক্যামেরা ও জিপিএস লাগানো গাড়ি করে অভিযান শুরুও হয়েছে জেলা জুড়ে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক ইউনিস রিসিন ইসমাইল জানিয়েছেন, ‘অনেকে বালির কারবারি মিথ্যা অভিযোগ করতে বিভিন্ন জায়গায় এই বলে, আমাদের আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, জোর করে টাকা নিয়েছেন। ঘটনাস্থলে না গিয়ে জরিমানা করেছেন এমন হাজারো প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করতেন। এবারে দেহ ক্যামেরা সঙ্গে অভিযানে থাকা গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকার থাকায় সেই অভিযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এক মুহূর্তেই। ক্যামেরার চিফ খুলে আমরা কম্পিটারে রেখে দিচ্ছি বেশ কিছুদিন। যাতে পরেও কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা যায়। একই সঙ্গে সরকারি কর্মীরাও কোন ভুল করলে সেটাও ধরা যাবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন যাতে তুলতে না পারে। একই সঙ্গে আমি আবেদন রাখব, কোথাও কোন অনিয়ম হলে বা কোন বিএলআর বা কেউ অন্যায় কাজে জড়িত থাকলে সরাসরি আমাদের জানান। অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা গোপন রেখেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ যেন সত্য হয় সেটাও মাথায় রাখার অনুরোধ করব।’ সুত্রের খবর ইতিমধ্যেই জেলায় রাজ্যের মধ্যে সর্বকালীন রাজস্ব আদায় করেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। নভেম্বর অবধি ৯০ কোটি টাকা ঢুকেছে রাজ কোষাগারে। যা রাজ্যের মধ্যেও নজিরবিহীন বলে জানতে পারা গেছে।