বাংলা ভাষা চর্চায় কলকাতাকে টেক্কা বাংলাদেশের :

লুতুব আলি, নতুন গতি : বাংলা ভাষা চর্চায় কলকাতাকে টেক্কা বাংলাদেশের : উদ্বেগ মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের। বাংলা ভাষা শিক্ষা প্রসারের জনক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিনের কলকাতার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী বিশিষ্ট কবি শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন : বাংলা ভাষা চর্চায় কলকাতা তথা ভারতের থেকে এগিয়ে ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কে এই প্রতিবেদক টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি এই অভিযোগ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য মঞ্চের উদ্যোগে কলকাতা শুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন লাইব্রেরী হলে আয়োজিত বিদ্যাসাগরের জন্মদিন ও শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রিসভার চট্টোপাধ্যায় আর ও বলেন, বাংলাদেশ অতি আন্তরিকতার সঙ্গে সাহিত্যচর্চা করে, বাংলা ভাষাকে নিয়ে গবেষণা করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যেখানে বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, স্বাধীনতা উত্তর যুগের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের মত বরেণ্য সাহিত্যিকদের বাস। সেখানে সাহিত্যচর্চায় হতাশা দেখা দিয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য মঞ্চের পুরোধা তথা সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু সকলকে স্বাগত জানানোর স্বাগত ভাষণ দেন। চন্দ্রনাথ বসু বলেন, ৩৯ কোটি বাঙালি হৃদয়ে বিদ্যাসাগর বিরাজমান। সমাজ সংস্কারক বিদ্যাসাগরের এই দিনটিকে আমরা শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি দপ্তরের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু বসু। অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ১৫ জন শিক্ষককে বাংলা শিক্ষার গৌরব সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার বিশিষ্ট কবি আরণ্যক বসু,রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী বিশিষ্ট গীতিকার ও শত কন্ঠে শত কবির পুরোধা পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তরসূরী বিশিষ্ট কবি অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বরুণ চক্রবর্তী, ধ্রুবব্রত দত্ত, রঞ্জনা কর্মকার, ড. পার্থ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। চন্দ্রনাথ বসুর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য মঞ্চের কর্মকাণ্ড নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভুয়সী প্রশংসা করেন। চন্দ্রনাথ বাবু দাবি করেন বিদ্যাসাগরের এই জন্মদিনটিকে রাজ্য শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করুক। বিশিষ্ট কবি দীপ্তি মুখোপাধ্যায় ও বিউটি দাস এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আপ্যায়নে ছিলেন পোলভি মিশ্র, তৃসারি ঘোষ, স্বচ্ছ তোয়া শীলু, স্বর্ণালী মন্ডল, সায়ন বেরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মধুমিতা ধূত।