স্বয়ং অধ্যক্ষ’র সঙ্গে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ধস্তাধস্তি, চাঞ্চল্য কেশপুর কলেজে

অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, কেশপুর: স্বয়ং অধ্যক্ষর সঙ্গে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ধস্তাধস্তির ঘটনায় চাঞ্চল্য কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে। জানা গেছে,কেশপুর কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুশান্ত দোলুইয়ের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষর বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদ এবার হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায় বুধবার বিকেলে।

    কেশপুর কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুশান্ত দোলুই বলেন , আমি 2005 সাল থেকে কেশপুর কলেজে অধ্যাপনা করছি, এমনকি টি আই সির দায়িত্ব সামলিয়েছি কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ আমার সাথে সহযোগিতা করেন নি। আমি কলেজের ক্লাস নেওয়া, জুরি সদস্য হওয়া, ক্ষেত্র সমীক্ষা, সেমিনার সহ একাধিক বিষয়ের শংসাপত্রতে সই করার জন্য এক সপ্তাহ আগে দিয়েছিলাম।উনি (অধ্যক্ষ) বলেছিলেন আমি সব কিছু ভেরিফাই করে দেবো। আজ শংসাপত্র আনতে গেলে শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভুঁইয়া । সেই সাথে আমার সাথে অমানবিক ব্যবহার করে আমার ওপর চড়াও হয় এবং ধস্তাধস্তি করে অফিস থেকে বের করে দেয়। সিসিটিভি ফুটেজে সব প্রমাণ আছে।

    অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দোলুই

    যদিও সুশান্ত বাবুর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ দীপক বাবু। তিনি বলেন , আসলে এইগুলো সবই ষড়যন্ত্র। সুশান্ত বাবু কতগুলো সার্টিফিকেট নিজে লিখে এনে আমাকে সই করার জন্য বলেছিলেন। আমি সেগুলো ভেরিফিকেশন করে সই করার কথা বলতেই উনি আমার ওপর চড়াও হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে উনাকে ঠেলে সরিয়ে বেরিয়ে যায় অফিস কক্ষ থেকে। অধ্যক্ষ দীপক বাবু আরো অভিযোগ করেছেন,
    সুশান্ত বাবু দীর্ঘদিন টিআইসি ছিলেন। উনি চাইছেন আমি সরে যায়। কলেজ আগে পাঠশালা ছিলো। আমি এসে কড়াকড়ি করেছি এবং সমস্ত শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস করাতে এত রাগ আমার ওপর।”
    এই ঘটনার পর উভয় পক্ষই আনন্দপুর থানায় দৌড়ায়। আনন্দপুর থানার পুলিশ এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে বিষয়টা মিটমাট করার চেষ্টা করেন।