বাঁকুড়া জেলা জমিয়তের প্রকাশ্য সভায় মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

আর এ মন্ডল,বিষ্ণুপুর : আজ ৯ নভেম্বর বুধবার বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রামে ১নং রোজভ্যালি ময়দানে বিপুল জন সমাবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল জেলা জমিয়তের প্রকাশ্য সভা। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী এবং রাজ্য জমিয়ত ভূত পূর্ব সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, ছিলেন বিশেষ অতিথি স্বামী শ্রী শ্রী পরমানন্দজী মহারাজ বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ, এবং বাঁকুড়া জেলা জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের সম্পাদক হাফিজ আকিল আহমাদ। অন্যান্যদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক মুফতি মতিউল্লাহ্, পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক মাওলানা ইমতিয়াজ প্রমুখ বিশিষ্ট জন। শুরুতে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মুহাম্মাদ ইউনুস বলেন যে,এই রাজ্যে জমিয়তের প্রথম সভাপতি ছিলেন ফুরফুরার দাদা হুজুর হজরত মাওলানা আবু বকর (রহ:),জেলা সহ সম্পাদক নিয়ামত আলি মণ্ডলও কথা রাখেন।আবুতাহের খান বলেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, সোনামুখী ব্লকের জমিয়ত এবং ইমাম পরিষদের সম্পাদক মাওলানা রেজাউল সাহেব বলেন যে,কওমকে এন আর সি, সি এ এ এর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই, আল্লাহ সাথে আছেন। অন্যান্য বিশিষ্টদের বক্তব্যে জমিয়তের অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর কথা উঠে আসে।
প্রধান অতিথি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব জমিয়তের উজ্জ্বল ঐতিহ্য ইতিহাস তুলে বিশ্ব নবীর জীবনাদর্শ তথা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন।তিনি ফুরফুরা শরীফের বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। ঈদগাহ, কবরস্থান ও মসজিদ ইত্যাদি ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে সচেতনতার কথা বলেন এবং রেজিস্ট্রেশন তথা রেকর্ডভূক্ত করার জন্য আহ্বান জানান। এই বিষয়ে সমস্যার সমাধান কল্পে জমিয়তের পাশে থাকার বার্তা দেন। সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যেই সবার যে কল্যাণ নিহিত আছে, সে কথাও সহজ সরল ভাষায় ব্যক্ত করেছেন।
বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ পরমানন্দজী রাজ্য সরকারের প্রশংসার করে সৌহার্দ্যের বার্তা দেন।তিনি আরও বলেন যে,হিন্দু মুসলিম ঐক্য সংহতিই দেশের জন্য মঙ্গল জনক। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে বিষ্ণুপুর ব্লক সংগঠন।
সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা জমিয়তের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম সাহেব।