খবরের জেরে অসহায় মানুষের পাশে বড়শুল কিশোর সংঘ

অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান ১ নং ব্লকের বন্ডুল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত ন্যাড়াগোয়ালিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গ কর্মকার তাঁর আর্থিক দূরদর্শার জন্য নিজের বসত বাড়িটুকুও বিক্রি করে দিতে হয়েছে. বর্তমানে গৌরাঙ্গ বাবু স্ত্রী, কন্যা, নাতি সহ নিজে সকলকে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া বসত বাড়ির সামনে একটি গাছের তলায় ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।. ওই গ্রামেরই পেশায় ট্রাক্টর চালক হায়াত আলি এহেন গৌরাঙ্গ বাবুর অবস্থা দেখে পরিশেষে ওই পরিবারটিকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। একটি পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিতও হয়েছিলো,। পত্রিকায় খবর দেখে বর্তমানে অসহায় পরিবারটির কথা ভেবে পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল কিশোর সংঘের পক্ষ থেকে এদিন এক মাসের চাল, ডাল, সহ অন্যান্য মুদিখানার সামগ্রী, পরিবারের সকলের জন্য জামা, শাড়ি, কম্বল, বিছানার মশারী, মাক্স, স্যানিটাইজার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, সাবান, সার্ফ, ডিম, আলু সহ ২০ রকমের কাঁচা সব্জি ওই পরিবারের গৃহ কর্তার হাতে তুলে দেওয়া হলো এবং পরবর্তী সময়ে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। বড়শুল কিশোর সংঘ এই কোভিড পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্ত মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার পাশাপাশি নিরন্ন মানুষকে রান্না করা খাবার তুলে দিয়েছে, কখনও রক্তের প্রয়োজনে রোগীদের রক্তের ডোনার কার্ড তুলে দিচ্ছে। আবার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় শিবিরও করেছে। কখনও এলাকার দুঃস্থ মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছে। বর্তমানের দুঃস্থ পরিবারের বিবাহযোগ্য কণ্যার বিবাহের অনুষ্ঠান সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্বও নিয়েছে । কখনও ইয়াস ঝড়ের জন্য সরকারি আশ্রয় শিবিরে টানা তিন দিন ৩০ জন মানুষকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার পৌঁছে দিয়েছে।

    এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে তাদের সাধু মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এই বড়শুল কিশোর সংঘ। তাইতো মাদার টেরেজা বলেছিলেন..” আমি একা এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারবোনা। তবে আমি স্বচ্ছ জলে একটি ছোট পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে বড় বড় জলতরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারবো।“